অবসর সময়ে ভ্রমণ করুন ও দেশ সম্পর্কে জানুন - পর্যটনবিডি.কম
Description About Tourism or Parjatan Place of Rangpur
এ পৃষ্ঠা থেকে ট্যুরিষ্ট বা পর্যটক রংপুর জেলার ভ্রমন তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। যা তাদের ভ্রমনের ক্ষেত্রে কাজে আসবে। শুধু তাই নয় এখনকার প্রতিটি ভ্রমন স্থানের নামের সাথে একটি তথ্যবহুলভিডিও-এর হাইপারলিংক করা আছেযার মাধ্যমে ভিডিও দেখে স্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবে ও ভ্রমণ সম্পর্কে তারা আগ্রহীহয়ে উঠবে।
পুরোনো এ মসজিদটি শহরের রংপুর জজ কোর্টের পেছনে অবস্থিত। ইসলাম ধর্মের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর (রা.)-এর ৩৫তম বংশধর কেরামত আলী জৈনপূরী ইসলাম প্রচারের জন্য রংপুরে আসেন। তাঁর মৃত্যুর পরে ১৮৭৩ সালে মাজারসংলগ্ন এ মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। মুঘল স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত তিন গম্বুজবিশিষ্ট এ মসজিদটি আয়তাকার। পুরোনো মসজিদটি সম্পূর্ণ অক্ষত রেখে সামনে মসজিদটির সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
এ অঞ্চলে উচ্চশিক্ষা প্রসারের উদ্দেশ্যে গোপাল লালা রায় বাহাদুর, মহিমা রঞ্জন রায়, অন্নদা মহোন রায়, বাবু মণি চন্দ্র রায়, সুরেন্দ্র চন্দ্র রায় প্রমুখ স্থানীয় জমিদারদের উদ্যোগে প্রায় ৯০০ বিঘা জমির ১৯১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এ কলেজ। বাংলার তৎকালীন গভর্নর লর্ড ব্যারন কারমাইকেলের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় এবং তিনিই এর উদ্বোধন করেন। কারমাইকেল কলেজের ছায়াঘেরা ক্যাম্পাসটি ঘুরে দেখে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন।
রংপুর শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে তাজহাট গ্রামে অবস্থিত এ জমিদারবাড়ি।রত্ন ব্যবসায়ী মান্না লাল ছিলেন তাজহাট জমিদারির প্রতিষ্ঠাতা। ব্যবসায়িক কারণে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে রংপুরের মহিগঞ্জে এসে বসবাস শুরু করেন এবং একটি ভবন নির্মাণ করেন। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে ভবনটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং তিনি আহত হয়ে পরবর্তীতে মারা যায়। তাঁর দত্তক পুত্র গোপাল লাল রায় বাহাদুর জমিদারির দায়িত্ব গ্রহণের পর বর্তমান ভবনটির নির্মাণ শুরু করেন, যা ১৯১৭ সালে সম্পন্ন হয়। ইতালি থেকে আমদানিকৃত শ্বেতপাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল প্রাসাদের সামনের সিড়িটি। পুরো ভবনটিতে রয়েছে ২৮ টি কক্ষ। ভবনের সামনে মার্বেল পাথরের সুদৃশ্য ফুয়ারা আজও বিদ্যমান। ১৯৫২ সালে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হবার পরে এবাড়ি চলে যায় কৃষি বিভাগ এর অধীনে এবং এখানে গড়ে ওঠে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনিস্টিটিউট। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাজহাট জমিদারবাড়ির প্রচুর মূল্যবান সম্পদ খোয়া যায়। ১৯৮৫ সালে এখানে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ চালু হয়। পরবর্তীতে সময়ে ১৯৮৭ সালে তাজহাট জমিদারবাড়ির রূপান্তর করা হয় জাদুঘরে। নতুন নামকরণ করা হয় রংপুর জাদুঘর। জাদুঘরে ৩০০টি মূল্যবান নিদর্শন রয়েছে। রংপুর জাদুঘর পরিদর্শনের গ্রীষ্মকালীন সময়সুচি(এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) হল বেলা ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা। মাঝে দুপুর ১টা থেকে ১টা ৩০মিনিট মধ্যহবিরতি। শীতকালে(অক্টোবর-মার্চ) সেটা হয়ে যায় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা। ১টা থেকে ১টা ৩০ মিনিট বিরতি। রোববার পূর্ণ এবং সোমবার অর্ধদিবসসহ সরকারি সব ছুটির দিনে জাদুঘরটি বন্ধ থাকে। এ জাদুঘরে বাংলাদেশী ও বিদেশী পর্যটকদের জন্য প্রবেশমূল্য যথাক্রমে ১০ ও ২০ টাকা।
জেলার মিঠাপুকুর থানার পায়রাবন্দে রয়েছে নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের বসতভিটা। ২০০১ সালে সরকার এখানে প্রতিষ্ঠা করেছে বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র। এখানে একটি বেদির ওপরে স্থাপন করা হয়েছে ব্রোঞ্জ নির্মিত বেগম রোকেয়ার পূর্ণাবয়ব প্রতিকৃতি।
রংপুর শহর থেকে প্রায় চৌদ্দ কিলোমিটার দূরে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক থেকে সামান্য ভেতরে গাজীপুর গ্রামে অবস্থিত একটি পর্যটন কেন্দ্র। দেশের প্রথম প্লানেটোরিয়ামটি এখানেই। এখানে বিশাল প্রান্তরজুড়ে রয়েছে লেক, বাগান, শিশুপার্ক, রিসোর্টসহ আরো অনেক কিছু।
মিঠাপুকুর উপজেলা থেকে আধা কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে রংপুর-মিঠাপুকুর সড়কের পাশেই প্রাচীনকালের এ মসজিদটি অবস্থিত। তিন গম্বুজবিশিষ্ট এ মসজিদটির চারধার মোটা প্রাচীর বেষ্টিত। সামনে মূল প্রবেশপথের উপরে বাংলাদেশের স্থাপত্যিক রীতিতে একটি দোচালা তোরণ রয়েছে। মসজিদে স্থাপিত একটি শিলালিপি থেকে জানা যায় জনৈক শেখ মোহাম্মদ সাহেবের পুত্র শেখ মোহাম্মদ আসের ১১২৬ হিজরি তথা ১৮১০ সালে মসজিদটি নির্মাণ করেন।
স্মারকস্তম্ভ অর্জন
শহরের মডার্ন মোড়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে পাশেই স্মারক স্তম্ভ অর্জন। স্তম্ভটির চূড়ায় স্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। সম্মুখ ও পশ্চাৎভাগে সিরামিক ম্যুরালচিত্রে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আমাদের মহান মুক্তি সংগ্রমের বিস্তীর্ণ ইতিহাস। ৭১-এর ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ থেকে ১৬ ডিসেম্বর বীর বাঙালির বিজয় পর্যন্ত ঘটনা পরিক্রমা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ ম্যুরালচিত্রে।