অবসর সময়ে ভ্রমণ করুন ও দেশ সম্পর্কে জানুন - পর্যটনবিডি.কম
News About Tourism of Bangladesh
Website Guideline
সূত্রঃ ইনকিলাব দৈনিক পত্রিকা
কক্সবাজারে সড়ক বিপ্লব
উন্নত যোগাযোগে বাড়ছে পর্যটক
পর্যটন শহর কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় বাড়ছে পর্যটক। এতে সচল ও চাঙা হয়ে উঠছে পর্যটন শিল্প। সরকারের বাড়ছে রাজস্ব। বর্তমান পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে উন্নত বলা চলে। বলা যায় কক্সবাজারে এ যেন সড়ক বিপ্লব হয়েছে। এতে করে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন সড়ক পথে কক্সবাজার ভ্রমনকারী পর্যটকরা।
কক্সবাজারের সাথে পর্যটক যোগাযোগের প্রধান ব্যবস্থা হচ্ছে সড়ক পথ। অবশ্য আকাশ পথে এবং নৌপথেও যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে। তবে গত কয়েক বছরে কক্সবাজারের সাথে বিমান যোগাযোগ বাড়লেও নৌপথে পর্যটক যোগাযোগ স্বাভাবিক নয়। সড়ক পথেই বেশিরভাগ পর্যটক কক্সবাজার আসেন।
কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা এ প্রসঙ্গে বলেন, সড়ক পথে কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন খুবই চমৎকার। কক্সবাজার জেলায় সওজ-এর সড়ক পথ আছে সর্বমোট সাড়ে ৫ শ’ কি.মি.। এর মধ্যে ১৭০ কি.মি. সড়ক পথ সংস্কারে এখন প্রায় ৫শ’ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলছে। এরপরে মাত্র ৩০ কি.মি. সড়ক সংস্কারের প্রয়োজন আছে। এ জন্য খুব শিগগিরই টেন্ডার আহবান করা হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া সীমানা থেকে কক্সবাজার হয়ে টেকনাফ পর্যন্ত প্রায় ১৫০ কি.মি. সড়কের উখিয়া পর্যন্ত উন্নয়ন কাজ চোখে পড়ার মত সংস্কার করা হয়েছে। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত শহীদ এটিএম জাফর আলম (আরাকান) সড়কের ভোগান্তি আর নেই। একইভাবে চোখ জোড়ানো মেরিন ড্রাইভ সড়ক তো আছেই।
এদিকে শহরতলীর লিংক রোডের বাঁকখালী ব্রিজ থেকে সৈকতের লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত ৮ কি.মি. সড়ক ৪ লাইন করে সংস্কার কাজ চলছে রাতদিন। এতে পর্যটকসহ সংশ্লিষ্টদের সময়িক কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। তবে সংস্কার কাজ শেষ হলে এর সাথে মেরিন ড্রাইভের সংযুক্তিতে কক্সবাজার ভ্রমণের মজাই হবে আলাদা।
নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা আরো জানান, রামু-মরিচ্যা ১৬ কি.মি. সড়ক ১২ ফুট থেকে ৩৪ ফুটে উন্নিত করে সংস্কার করা হচ্ছে।
এছাড়াও চকরিয়া একতা বাজার থেকে বনৌজা শেখ হাসিনা নৌঘাটি পর্যন্ত ২৩ কি.মি. সড়ক ১৮ ফুট থেকে ৩৪ ফুটে উন্নিত করে সংস্কার করা হবে। গত ২২ নভেম্বর এই সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন হয়েছে। তিনি বলেন, পর্যটন এলাকা কক্সবাজারের সড়কের উন্নয়ন করতে ভূমিকা রাখতে পারায় এই এলাকার নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে তার খুব ভাল লাগছে।
একই সাথে কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করেছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এই সড়কে প্রায় দুই শত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ শেষ হলে শহরে পর্যটক ও শহরবাসীর আর ভোগান্তি থাকবে না।
এদিকে সৈকতে কয়েকটি পর্যটক দম্পতির সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারা করোনা ভাইরাসের ২য় ঢেউ চেপে পড়ার আগে কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন। প্রায় জাতীয় দিবসের বন্ধে আসতে না পারলেও প্রতি ঈদের ছুটিতে তারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণ করে থাকেন। কিন্তু গত দুই ঈদে করোনাকালীন লকডাউনে তারা আসতে পারননি। তাদের মতে কক্সবাজার-ঢাকা সড়ক যোগাযোগ আগের চেয়ে এখন অনেক উন্নত হয়েছে। তবে ভাঙনে কিছুটা সৌন্দর্য হারিয়েছে
আগামী ২০ ডিসেম্বর ২০২০ রোজ রবি বার শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে "এম ভি বে ওয়ান" জাহাজ টি। জাহাজ টি কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন সাগর পথে চলাচল করবে নিয়মিত।কর্নফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড কর্তৃক বিদেশ হতে আনীত "বে ওয়ান ক্রুজ শীপ" এর প্রথম সমুদ্র যাত্রা উপলক্ষে আগামী ২০ ডিসেম্বর ২০২০ রোজ রবিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জনাব খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। জনাব মোঃ মাহবুব আলী, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় উদ্বোধন করতে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাননীয় উপমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জনাব আশেক উল্লাহ রফিক, সংসদ সদস্য, কক্সবাজার ২।
জনাব সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য, কক্সবাজার ৩।
জনাব হেলালুদ্দীন আহমদ, সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
কমোডর আবু জাফর মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, সিপিসসিএম, এনডিসি, পিএসসি, বি এন, মহাপরিচালক, নৌ পরিবহন অধিদপ্তর।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
অনুষ্ঠান সূচী:
তারিখঃ ২০ ডিসেম্বর, ২০২০, রোজ রবিবার।
যাত্রা স্থান ঃ ওয়াটার বাস টার্মিনাল, পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।
গন্তব্যঃ উদ্বোধনী গন্তব্য, কক্সবাজার।
অপরাহ্ন:
০২-৩০ টা: সম্মানিত অতিথিগনের আগমন ও জাহাজে আসন গ্রহন।
০৩-০০ টা: প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিদের আগমন ও জাহাজে আরোহন।
০৩-৩০ টা: বে ওয়ান ক্রুজ শিপের শুভ উদ্ধোধন ঘোষনা।
০৩-৪০ টা: কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা ও বঙ্গোপসাগরে সমুদ্র ভ্রমন (Cruising)
রাত্রী:
৬ -০০ টা: সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
৯-৩০ টা: গ্র্যান্ড ডিনার।
১০-৩০ টা: সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিনোদন মুলক কার্যক্রম।
বিশেষ দ্রষ্টব্য সকল আমন্ত্রিত সন্মানিত অতিথীবৃন্দ কে জাহাজে রাত্রি যাপনের অনুরোধ করা হচ্ছে ।
পরদিন ২১ ডিসেম্বর ৯.০০ ঘটিকায় এম ভি কর্নফুলী এক্সপ্রেস এর মাধ্যমে সকল অতিথিবৃন্দকে কক্সবাজারে অবতরন করানো হবে। রাত্রে কক্সবাজার নামার ব্যাবস্থা ও থাকবে।
উল্লেখ্য, এম ভি বে ওয়ান জাহাজ টির দৈর্ঘ্য ৪০০ ফুট ও প্রস্থ ৫৫ ফুট। জাহাজ টির গ্রস টনেজ ৫০১৯, জাহাজ টিতে মোট ১১২০০ বি এইচ পি সম্পন্ন মেইন প্রপালেশন ইঞ্জিন রয়েছে। যার দ্বারা জাহাজ টি প্রতি ঘন্টায় ২৪ নটিক্যাল মাইল গতিতে ছুটতে পারে। উত্তাল সমুদ্র মোকাবেলায় জাহাজ টিতে ফিন স্ট্যাবিলাইজার সংযুক্ত আছে। প্রায় ২০০০ জন যাত্রী ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজ টিতে অপারেটিং ক্রু রয়েছে ১৭ জন। যাত্রী সেবায় নিয়োজিত রয়েছে ১৫০ জন ক্রু। জাহাজ টিতে সাচ্ছন্দময় ভ্রমন, রাত্রি যাপন ও বিভিন্ন স্বাদ এর খাবার পরিবেশন এর ব্যাবস্থা আছে।