ঢাকার পাশে গাজীপুর জেলার পুবাইল কলেজ গেটে হাসনাহেনা পিকনিক স্পট এবং রিসোর্ট এর অবস্থান। টঙ্গী থেকে ঢাকার দূরত্ব মাত্র ৮ কিলোমিটার। ৯ বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ পরিবেশে নয়নাভিরাম সাজে সাজানো হয়েছে।
হাসনাহেনা সবচেয়ে বড় আকর্ষণ রকমারি গাছের সমারোহ এবং ফুলের বাগান। এমন কোন দেশি ফল কিংবা ফুলের গাছ নেই যা হাসনাহেনায় নেই। সবুজ বৃক্ষ এর বর্ণিল ফুলের মোহময় সৌন্দর্য হাসনাহেনাকে যেন গিরে রেখেছে। পিকনিক, বনভোজনের জন্য হাসনাহেনা চমৎকার একটি স্থান। প্রতিদিন এখানে ৫০ থেকে ৩০০ জনের পিকনিক আয়োজনের সুযোগ রয়েছে।
হাসনাহেনা একদিন ১টি গ্রুপের জন্যই শুধু ভাড়া দেয়া হয়। হাসনাহেনায় আছে বেশ বড় একটি পুকুর। পুকুরে শান বাঁধানো ঘাট। পাড়ে নারিকেল গাছ এবং ফুল গাছের সারি। পিকনিকের জন্য হাসনাহেনায় রান্নাবান্নার যাবতীয় সুবিধা রয়েছে।
অত্যাধুনিক আবাসিক ভবনে রয়েছে নান্দনিক আসবাবপত্রের সজ্জিত রুম। অতিথিরা এসব রুম ২৪ ঘন্টার জন্য স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করতে পারবে। পুকুরের উপরে স্থাপিত বাংলা টাইপের রয়েছে বিশ্রামের সুব্যবস্থা। হাসনাহেনার কুঁড়েঘর এবং টিনের চালওয়ালা ঘরগুলো গ্রামীণ পরিবেশটিকে করে তুলেছে আরো সুন্দর এবং বাস্তবিক।
হাসনাহেনার খেলাধুলার জন্য রয়েছে বিশাল একটি মাঠ। মাঠে ক্রিকেট, ফুটবল সহ বিভিন্ন খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। হাসনাহেনার সৌন্দর্য ফুটে ওঠে বর্ষাকালে। তখন গাছগুলো হয়ে ওঠে সতেজ, আরো সুন্দর। শুধু হাসনাহেনার ভেতরের সৌন্দর্য নয়, হাসনাহেনার বাইরের গ্রামীণ পরিবেশ মনোমুগ্ধকর। এ রিসোর্টের পেছনে রয়েছে একটি বিশাল বিল। বিলে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য সত্যিই দর্শনীয়। হাসনাহেনায় একটি কনফারেন্স হল এবং সুইমিংপুল নির্মাণ করা হবে। প্রকৃতি এবং আধুনিকতার সমন্বয়ে নির্মাণ করা হয়েছে হাসনাহেনা রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট। যেকোনো পারিবারিক কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক অনুষ্ঠান আয়োজন এর জন্য বেছে নিতে পারেন নির্দ্বিধায়।