অবসর সময়ে ভ্রমণ করুন ও দেশ সম্পর্কে জানুন - পর্যটনবিডি.কম
Description AboutTourism or Parjatan Place of Chittagong
এ পৃষ্ঠা থেকে ট্যুরিষ্ট বা পর্যটক চট্রগ্রাম জেলার ভ্রমন তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। যা তাদের ভ্রমনের ক্ষেত্রে কাজে আসবে। শুধু তাই নয় এখনকার প্রতিটি ভ্রমন স্থানের নামের সাথে একটি তথ্যবহুলভিডিও-এর হাইপারলিংক করা আছেযার মাধ্যমে ভিডিও দেখে স্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবে ও ভ্রমণ সম্পর্কে তারা আগ্রহীহয়ে উঠবে।
লালদিঘি এলাকায় পরীর পাহাড়ে আছে ঐতিহাসিক কোর্ট বিল্ডিং। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ ভেঙ্গে উপরে উঠলেই দেখতে পাবেন প্রাচীন এই ভবনটি। তবে ঐতিহাসিক এই স্থাপনাটি দিন দিন হারাতে বসেছে তার জলুস। একে সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করে এর কোনো অংশ ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। কোথাও কোথাও নির্মাণ করা হয়েছে নতুন স্থাপনা
শহরের গোল পাহাড়ের মোড় থেকে একটু সামনে বাদশা মিঞা সড়কে রয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন দেয়া ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, ভারত, মিয়ানমার , পূর্ব এবং পশ্চিম আফ্রিকা, নেদারল্যান্ড ও জাপানের ৭৫৫ জন সৈনিকের সমাধি আছে এই জায়গাটিতে। দুই ইদ ছাড়া সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারা বছরই খোলা থাকে এ জায়গাটি।
১৯১৩ সালে ইংরেজদের প্রতিষ্ঠিত সার্কিট হাউস এখন জিয়া স্মৃতি জাদুঘর। ১৯৮১ সালের ৩০ মে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ সার্কিট হাউসের ৪ নং কক্ষে নির্মিতভাবে ঘাতকের গুলিতে নিহত হন।
শহরের আগ্রাবাদ এলাকায় রয়েছে চট্টগ্রাম জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর। ১৯৭৪ সালের ৯ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় এ জাদুঘর। ১১ গ্যালারি সমৃদ্ধ এ জাদুঘরে সেশের ২৯টি ক্ষুদ্র জাতির উদ্ভব, বিকাশ ও বৈচিত্র্যময় জীবনযাপনের নানান দিক প্রদর্শিত হচ্ছে। জাপানের টোকিওর পরে এশিয়ায় এধরনের জাদুঘর দ্বিতীয়টি হল এটি।
শহরের লালদীঘির পূর্বপাশে রয়েছে এ অঞ্চলের বিখ্যাত দরবেশ শাহ আমানত (র.) দরগা। ধারণা করা হয় অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে বিহার থেকে তিনি চট্টগ্রামে আসেন। এখানে তিনি ছোট একটি কুঁড়েঘরে থাকতেন এবং জজকোর্টে পাখা টানার চাকরি করতেন
শহরের সিরাজউদ্দৌলা সড়কে অবস্থিত চন্দনপুরা হামিদিয়া তাজ মসজিদ। অষ্টাদশ শতাব্দীতে নির্মিত এ মসজিদটির তৈরি করেন লক্ষ্ণৌ থেকে আসা কারিগররা। মসজিদটির উপরে পিতলের তৈরি ১৫টি গম্বুজ মসজিদটির স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্যের মুল আকর্ষণ।
হিন্দু সম্প্রদায়ের পুরোনো একটি তীর্থস্থান এটি। ১৮১০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ মন্দিরটি প্রায় ১৮ একর পাহাড়ি জায়গা নিয়ে বিস্তৃত। হাজারো ভক্তের পদচারণায় সর্বদায় মুখর থাকে এ জায়গাটি।
শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের পাশে নাসিরাবাদ এলাকায় রয়েছে হজরত বায়েজীদ বোস্তামী (র.) দরগা। প্রতিদিন শত শত ধর্ম্প্রাণ মানুষের পদচারণায় মুখরিত থাকে এ জায়গাটি।
ষর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার উত্তরে রয়েছেন সবুজ ঘেরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। প্রায় ৫১২ হেক্টর জায়গাজুড়ে পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে এ ক্যাম্পাসে বেড়াতে ভালোলাগবে সবার।
শহর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত। এখানে দাঁড়িয়ে বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ জাহাজগুলোকে সন্ধ্যার পরে দেখা যায় সমুদ্রের মাঝে একটি আলো ঝলমলে শহরের মতো। বন্দর রোড ধরে গেলে নতুন এয়ারপোর্ট এলাকাটিও ঘুরে দেখে আসতে পারেন। এয়ারপোর্টের সামনে কর্ণফুলী নদীর দৃশ্যটাও মনোহর। শহর থেকে পতেঙ্গার বেবিট্যাক্সি, বাস ও টেম্পুতে
রাঙ্গামাটি ও কাপ্তাইয়ের পাশ দিয়ে বয়ে চলা এই নদীকে কেন্দ্র করেই একসময় গড়ে উঠেছিল চট্টগ্রাম শহর। ভারতের লুসাই পাহাড় থেকে এ নদীর উৎপত্তি। চট্টগ্রাম বন্দর, কর্ণফুলী পেপার মিলসহ নানান স্থাপনা এ নদীর তীরেই । ২০১০ সালে কুর্ণফুলীতে গড়া হয়েছে আধুনিক শাহ আমানত সেতু। সাম্পান কিংবা ইঞ্জিন নৌকায় চড়ে ভ্রমণ করা যায় কর্ণফুলীর বুকে।