অবসর সময়ে ভ্রমণ করুন ও দেশ সম্পর্কে জানুন - পর্যটনবিডি.কম
Description AboutTourism or Parjatan Place of Barisal
এ পৃষ্ঠা থেকে ট্যুরিষ্ট বা পর্যটক বরিশাল জেলার ভ্রমন তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। যা তাদের ভ্রমনের ক্ষেত্রে কাজে আসবে। শুধু তাই নয় এখনকার প্রতিটি ভ্রমন স্থানের নামের সাথে একটি তথ্যবহুলভিডিও-এর হাইপারলিংক করা আছেযার মাধ্যমে ভিডিও দেখে স্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবে ও ভ্রমণ সম্পর্কে তারা আগ্রহীহয়ে উঠবে।
বরিশাল শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে কীর্তনখোলা নদী। বরিশালের শায়েস্থা বাদ থেকে শুরু হয়ে নদীটি গাবখান খালের কাছে এসে গজালিয়া নদীতে পড়েছে। বর্তমানে এটি বরিশাল নদী নামেও পরিচিত।
বরিশালের প্রাচীন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রজমোহন কলেজ। ১৮৮৪ সালের ২৭ জুন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রমেশচন্দ্র দত্তের অনুরোধে অশ্বিনী কুমার দত্ত তাঁর পিতা কলকাতার জজ ব্রজমোহন দত্তের নামে এ কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রায় ১২৬ বিঘা জমির উপরে প্রতিষ্ঠিত প্রাচীন এ কলেজ ক্যাম্পাসটি মনোমুগ্ধকর।
বরিশাল শহরের সদর রোড়ে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী অশ্বিনী কুমার টাউন হল। বরিশাল শহরের উন্নয়নের প্রান পুরুষ ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অশ্বিনী কুমার দত্তের নামানুসারে এ হলের নামকরণ করা হয়। এ হলটি প্রতিষ্ঠার পেছনে আছে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।
১৯০৬ সালে রাজা বাহাদুরের হাবেলিত মিছিলের ওপর পুলিশ হামলা চালায়। এঘটানাকে স্মরণীয় করে রাখতে আশ্বিনী কুমার দত্ত একটি হল নির্মাণের প্রস্তাব করেন।
১৯২০ সালে অশ্বিনী কুমারকে সভাপতি ও শরৎচন্দ্র গুহকে সম্পাদক করে একটি কমিটি করা হয়। একই বছর রাজা বাহাদুরের হাবেলির মালিকদের কাছ থেকে জমিও ক্রয় করা হয়। পরের বছর হলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ১৯৩০ সালে। এর মাঝে ১৯২৩ সালে অশ্বিনী কুমার দত্তের মৃত্যু হলে এক শোকসভায় সর্বসম্মতিক্রমে হলটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়।
শহরের বগুড়া রোডে রয়েছে সুরম্য স্থাপনাসমৃদ্ধ অক্সফোর্ড মিশন গির্জা। এখানকার গির্জাটি বেশ আকর্ষণীয়। গ্রিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত গির্জাটির ভেতর আছে সুবিশাল প্রার্থনা কক্ষ।এ ছাড়াও বরিশাল শহরের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী বিবির পুকুর, বেলস পার্ক, লেডিস পার্ক ইত্যাদি।
শহরের পাশেই রয়েছে চারণ কবি মুকুন্দ দাসের বসতভিটা। কবির জন্ম বিক্রমপুরে হলেও তাঁর পিতা গুরুদয়াল বরিশালের আদালতে আরদালির কাজ করতেন। সে সূত্রে তাঁরা বরিশালের বাসিন্দা হন।
জেলার সদর উপজেলার কড়াপুর ইউনিয়নে রয়েছে প্রাচীন একটি মসজিদ। একটি উঁচু ভিত্তির উপরে নির্মিত এ মসজিদে ওঠার জন্য সামনের দিকে ঠিক মাঝখানে একটি সিঁড়ি আছে। সামনের দেয়ালের তিনটি প্রবেশপথ বরাবর পশ্চিম দেয়ালের আছে তিনটি মিহরাব। মসজিদের ওপরে আছে তিনটি গম্বুজ। মসজিদের সামনের দেয়ালে আছে চারটি মিনার এবং এগুলোর ফাঁকে ফাঁকে আছে অপেক্ষাকৃত ছোট আরোছয়টি সরু মিনার। ধারণা করা হয় মসজিদটি অষ্টাদশ শতাব্দীতে নির্মিত।
বরিশাল শহর থেকে প্রায় এগার কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে মাধবপাশা গ্রামে ছিল বাকলা চন্দ্রদ্বীপ রাজাদের আবাসস্থল। তাঁরা পটুয়াখালী জেলার বাউফল থেকে মগ জলদস্যুদের ভয়ে কিংবা নদী ভাঙনের ফলে এখানে চলে আসেন বলে জানা যায়।
এখানে রাজাদের প্রাসাদ, মন্দির ইত্যাদির ধ্বংসাবশেষ এখনো বিদ্যমান। তবে মাধবপাথর দর্শনীয় স্থান হল প্রাচীন দিঘি দুর্গাসাগর। রাজা জয়নারায়ণেরমা দুর্গাদেবীর নামে এর নামকরণ করা হয়। বিশাল এ জলাশয়ের ঠিক মাঝখানে আছে একটি ছোট্ট দ্বীপ। শীতে এ দ্বীপে প্রচুর অতিথি পাখির সমাগম হয়। বরিশালের নথুল্লাবাদ বাস স্টেশন থেকে বানারীপাড়ার বাসে সহজেই আসা যায় দুর
দুর্গাসাগর থেকে চার কিলোমিটার পশ্চিমে বরিশাল-বানারীপাড়া সড়কের পাশে গুঠিয়া এলাকায় রয়েছে আধুনিক স্থাপত্যরীতিতে তৈরি বায়তুল আমান জামে মসজিদ। স্থানীয়রা একে গুঠিয়া মসজিদও বলে থাকেন। বিস্তীর্ণ খোলা চত্বরের মাঝে বিশাল এ মসজিদটির কেন্দ্রে রয়েছে কারুকাজ খচিত একটি গম্বুজ। মসজিদের উঁচু মিনারটিও বেশ আকর্ষণীয়। এটি বাংলাদেশের আকর্ষণীয় মসজিদগুলোর একটি।
গুঠিয়ার আরেক বিশেষ আকর্ষণ এখানকার সন্দেশ। গরুর দুধের ছানা দিয়ে তৈরি এ সন্দেশ খুবই মজাদার। গুঠিয়া মসজিদের পাশেই পাওয়া যায় এ সন্দেশ। প্রতিটি সন্দেশ বিক্রি হয় সাত টাকায়, আর কেজি ৩০০ টাকায়।
বরিশাল সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে বানারীপাড়ার চাখারে অবস্থিত শেরেবাংলা স্মৃতি জাদুঘর। ১৯৮২ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এখানে এ জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করে। এ জাদুঘরে দেখা মিলবে শেরেবাংলার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের দুর্লভ সব আলোকচিত্র, তাঁর ব্যবহৃত নানান আসবাবপত্র ইত্যাদি। জাদুঘরের আদুরেই রয়েছে ১৯২৯ সালে শেরেবাংলা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মসজিদ। শনিবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে এ জাদুঘর।
বরিশাল সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে বানারীপাড়ার চাখারে অবস্থিত শেরেবাংলা স্মৃতি জাদুঘর। ১৯৮২ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এখানে এ জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করে।
এ জাদুঘরে দেখা মিলবে শেরেবাংলার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের দুর্লভ সব আলোকচিত্র, তাঁর ব্যবহৃত নানান আসবাবপত্র ইত্যাদি। জাদুঘরের আদুরেই রয়েছে ১৯২৯ সালে শেরেবাংলা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মসজিদ। শনিবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে এ জাদুঘর।
জেলার উজিরপুর উপজেলার মাহিলারা এলাকায় প্রাচীন একটি স্থাপনা সরকার মঠ। আটকোণাকৃতির এ মঠটি প্রায় ২০.২১ মিটার উঁচু। পুরো মঠের গায়ে নানান অলঙ্করণে শোভিত। জানা যায় অষ্টাদশ শতকে নবাব আলীবর্দী খাঁর সময়ে সরকার রূপরাম দাসগুপ্ত এটি নির্মাণ করেন।
জেলার গৌরনদী থানার রামসিদ্ধি গ্রামে অবস্থিত প্রাচীন স্থাপনা কসবা মসজিদ। বর্গাকারে নির্মিত এ মসজিদের প্রত্যেক পাশের দৈর্ঘ্য ১৬.৯৬ মিটার। প্রাচীরগুলো বেশ প্রশস্ত। এর চারকোণে চারটি ছোট আকৃতির মিনার আছে। মসজিদের সামনের দেয়ালে তিনটি এবং উত্তর দেয়ালে একটি করে প্রবেশপথ আছে। প্রবেশপথগুলো পোড়ামাটির অলঙ্করণে শোভিত। মসজিদের উপরে আছে নয়টি গম্বুজ। ধারণা করা হয় খানজাহানের সময়ে মসজিদটি নির্মিত।