অবসর সময়ে ভ্রমণ করুন ও দেশ সম্পর্কে জানুন - পর্যটনবিডি.কম
Description AboutTourism or Parjatan Place of Bhola
এ পৃষ্ঠা থেকে ট্যুরিষ্ট বা পর্যটক ফরিদপুর জেলার ভ্রমন তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। যা তাদের ভ্রমনের ক্ষেত্রে কাজে আসবে। শুধু তাই নয় এখনকার প্রতিটি ভ্রমন স্থানের নামের সাথে একটি তথ্যবহুলভিডিও-এর হাইপারলিংক করা আছেযার মাধ্যমে ভিডিও দেখে স্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবে ও ভ্রমণ সম্পর্কে তারা আগ্রহীহয়ে উঠবে।
বঙ্গোপসাগরের তীরে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর মোহনায় জেগে ওঠা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি চর কুকরী-মুকরী। এ চরের প্রধান আকর্ষণ এখানকার ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল আর প্রায় জনশূন্য পরিচ্ছন্ন সমুদ্রসৈকত। সারা বছর এখানে নানান সামুদ্রিক পাখির আনাগোনা থাকলেও শীতে পুরো দ্বীপ পরিণত হয় পাখির অভয়ারণ্যে। এ ছাড়া জেলেদের সংগ্রামী জীবনাচরণ দেখা যাবে এ দ্বীপের পরতে পরতে। এর পাশাপাশি চর পাতিলা ও ঢালচর, চর নিজাম, চর সাকুচিয়া, চর নিউটন, চর আইচা নামেও পৃথক দুটি চর আছে। চর কুকরী-মুকরী যেতে হলে ভোলা সদর থেকে প্রথমে সড়কপথে প্রায় একশ কিলোমিটার যেতে হবে চর ফ্যাশন উপজেলার কচ্ছপিয়া। সেখান থেকে ইঞ্জিন বোটে প্রায় দুই ঘণ্টা লাগে চর কুকরী-মুকরীতে যেতে।
ভোলা জেলার আরেকটি দর্শনীয় স্থান দ্বীপ উপজেলা মনপুরা। মনপুরাতেও রয়েছে চর যতীন, কালু গাজীর চর, চর ওরন, চর ফাইজউদ্দিন নামে বেশ কয়েকটি চর। জেলা সদর থেকে লঞ্চে আসা যায় মনপুরা। মনপুরায় থাকার জন্য আছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বনবিভাগের বিশ্রামাগার। এ ছাড়া মনপুরা বাজারে থাকার জন্য সাধারণ মানের কিছু হোটেল আছে।
দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র গ্যাসক্ষেত্র বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহবাজপুরে। বর্তমানে এ গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর
ভোলা সদর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে আলীনগর ইউনিয়নে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন দেয়া বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামালের বসতভিটা। ’৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সমরযুদ্ধে তিনি শহীদ হন। দেশের স্বাধীনতায় তাঁর অবদানের কথা চিরস্মরণীয় করে রাখতে সরকারি উদ্যোগে এখানে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর। শহর থেকে রিকশায় যাওয়া যায় জায়গাটিতে।