অবসর সময়ে ভ্রমণ করুন ও দেশ সম্পর্কে জানুন - পর্যটনবিডি.কম
Description AboutTourism or Parjatan Place of Sunamganj
এ পৃষ্ঠা থেকে ট্যুারিষ্ট বা পর্যটজন সুনামগঞ্জ জেলার ভ্রমন তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। যা তাদের ভ্রমনের ক্ষেত্রে কাজে আসবে। শুধু তাই নয় এখনকার প্রতিটি ভ্রমন স্থানের নামের সাথে একটি তথ্যবহুল ভিডিও-এর হাইপারলিংক করা আছে যার মাধ্যমে ভিডিও দেখে স্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবে ও ভ্রমণ সম্পর্কে তারা আগ্রহী হয়ে উঠবে।
সুনামগঞ্জ শহরের তেঘরিয়া এলাকায় রয়েছে মরমি কবি হাছন রাজার সমাধি। তাঁর প্রকৃত নাম দেওয়ান হাছন রাজা চৌধুরী। ১৮৫৪ সালে তিনি সুনামগঞ্জের লক্ষ্মণশ্রী গ্রামের এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরী। ১৯২২ সালে মৃত্যুর পর তাঁকে এখানেই সমাহিত করা হয়।
সুনামগঞ্জ শহরে সুরমার তীরে হাছন রাজার বাড়িটি এখন জাদুঘরে রূপ দেয়া হয়েছে। কবির ব্যবহৃত নানান দ্রব্যসামগ্রী, কবির হাতের লেখা কবিতা ও গানের পাণ্ডুলিপি স্থান পেয়েছে এ জাদুঘর।
সুনামগঞ্জে সদরউপজেলায় রয়েছে প্রায় পাঁচশ বছরের পুরোনো গৌরারং জমিদারবাড়ি। বাড়িটির বিভিন্ন স্থাপনার নির্মাণশৈলী বেশ আকর্ষণীয়। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দিন দিন জৌলুস হারাচ্ছে প্রাচীন এ স্থাপনাটি। শহরের সাহেববাড়ি ঘাট থেকে নৌকা কিংবা ট্রলারে যেতে হবে টুকের ঘাট, সেখান থেকে রিকশায় জমিদারবাড়ি।
সদর উপজেলার পাগলা ইউনিয়নের পাগলা বাজারের কাছে প্রাচীন মসজিদটির অবস্থান। দোতলা এ মসজিদটির উপরে কারুকার্যময় তিনটি গম্বুজ ও চার কোণে চারটি ছোট আকৃতির মিনার আছে। সুনামগঞ্জ সদর থেকে বাসে যাওয়া যায় জায়গাটিতে।
জেলার তাহিরপুর উপজেলায় অবস্থিত যাদুকাটা নদী। হিন্দু ধর্মের সাধক পুরুষ অদ্বৈত মহাপ্রভুর মা লাভা দেবীর গঙ্গা স্নানের প্রবল বাসনা ছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁর সে ইচ্ছা পূরণ হয়নি। অদ্বৈত মহাপ্রভু তাঁর মায়ের তাঁর মায়ের ইচ্ছা পূরণের জন্য যোগসাধনা বলে পৃথিবীর সব তীর্থের পুণ্যজল এক নদীতে এক ধারায় প্রবাহিত করে দেন। এ জলধারাই পুরোনো রেণুকা নদী বর্তমানে যা যাদুকাটা নদী নামে পরিচিত। তাহিরপুরে এ নদীর তীরে প্রতি বছর চৈত্র মাসে বারুণী মেলা বসে।
সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলার দশটি মৌজা নিয়ে বিস্তৃত টাঙ্গুয়ার হাওড়। প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ হাওড়ে ছোটবড় ১২০টি বিল আছে। প্রতি বছর এ হাওড়ে প্রায় ২০০ প্রজাতির অথিতি পাখির সমাগম ঘটে। এ হাওড়ে প্রায় ২০৮ প্রজাতির পাখি, ১৫০ প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ, ১৫০ প্রজাতির মাছ, ৩৪ প্রজাতির সরীসৃপ ও ১১ প্রজাতির উভচর প্রাণী রয়েছে। জেলা শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ হাওড়ে শহরের তেঘরিয়া কিংবা সাহেববাড়ি ঘাট থেকে ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া করে যেতে হবে।
জেলার ধর্মপাশা উপজেলায় সুখাইর জমিদারবাড়ি। প্রায় ২৫ একর জায়গার উপরে প্রাচীন এ বাড়িটি এখন ধ্বংসের প্রান্তে। ১৯২২-২৩ সালে নানাকার বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল এ সুখাইর জমিদারবাড়ি থেকে।
জেলার দিরাই উপজেলার ধল গ্রামে এ দেশের বাউলসম্রাট শাহ আব্দুল করিমের সমাধি। ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করলে বাউলসম্রাটকে এখানেই সমাহিত করা হয়।