অবসর সময়ে ভ্রমণ করুন ও দেশ সম্পর্কে জানুন - পর্যটনবিডি.কম
Description AboutTourism or Parjatan Place of Narail
এ পৃষ্ঠা থেকে ট্যুরিষ্ট বা পর্যটক নড়াইল জেলার ভ্রমন তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। যা তাদের ভ্রমনের ক্ষেত্রে কাজে আসবে। শুধু তাই নয় এখনকার প্রতিটি ভ্রমন স্থানের নামের সাথে একটি তথ্যবহুলভিডিও-এর হাইপারলিংক করা আছেযার মাধ্যমে ভিডিও দেখে স্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবে ও ভ্রমণ সম্পর্কে তারা আগ্রহীহয়ে উঠবে।
নড়াইল শহরের মাছিমদিয়া এলাকায় চিত্রা নদীর পাড়ে বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের বাড়িতে গড়ে তোলা হয়েছে সুলতান কমপ্লেক্স। প্রায় ২৭ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত এ কমপ্লেক্সের ভেতরেই চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন শিল্পী। এখানকার একটি গ্যালারিতে প্রদর্শিত হচ্ছে শিল্পীর দুর্লভ সব চিত্রকর্ম ও তাঁর ব্যবহৃত জিনিসপত্র।
শিল্পী শিশুদের ছবি আঁকা শেখানোর জন্য ‘শিশুস্বর্ণ’ নামে যে বজরা তৈরি করেছিলেন সেটিরো দেখা মিলবে কমপ্লেক্সের পাশেই চিত্রা নদীতে। সরকারি ছুটি ছাড়া প্রতিদিনই সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে সুলতান কমপ্লেক্স। ১০ আগস্ট শিল্পীর জন্মদিন উপলক্ষে প্রতি বছর চিত্রা নদীতে বর্ণাঢ্য নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সুলতান কমপ্লেক্সে আয়োজন করা হয় সাত দিন ব্যাপী সুলতান মেলা।
শহরের কেন্দ্রস্থলে চিত্রা নদীর পাড়ে রয়েছে ছাউনিসমেত নদীর তলদেশ পর্যন্ত রাজকীয় ঘাট। ঘাট থেকে একটি পথ চলে গেছে জমিদার বাড়ির প্রধান ফটকে। বাড়ির এ তোরণ ছাড়া মূল প্রাসাদের কিছুই এখন আর অবশিষ্ট নেই। শুধু একটি দিঘি ও দুটি মন্দির আছে রাজবাড়ির চত্বরে।
নড়াইল শহরের চিত্রা নদীর তীরে অবস্থিত চিত্রা রিসোর্ট। প্রায় সাত দিন জায়গাজুড়ে এ রিসোর্টে আছে কটেজ, শিশুপার্ক, চিত্রা নদীতে নৌভ্রমণের ব্যবস্থা। বনভোজন, অবকাশ যাপন কিংবা পারিবারিক ভ্রমণের জন্য চিত্রা রিসোর্ট একটি উপযুক্ত জায়গা।
নড়াইল সদরের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ মাঠে প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় এক লাখ মোমবাতি জ্বালিয়ে স্মরণ করা হয় ভাষার জন্য প্রাণ বিসর্জন থেকে দেয়া শহীদদের। সন্ধ্যায় আঁধার নামার সঙ্গে সঙ্গে এদিন মো মের আলোয় পুরো কলেজ মাঠে ফুটে ওঠে বাংলা বর্ণমালা শহীদমিনার ইত্যাদি।
জেলার লোহাগাড়া থানার রাম্পুরে অনস্থিত বনভোজন কেন্দ্র নিরিবিলি। প্রায় ১৪ একর জায়গা নিয়ে এ কেন্দ্রটিতে আছে চিড়িয়াখানা, জাদুঘর, এস এম সুলতানের শিল্পকর্ম নিয়ে একটি প্রদর্শনী গ্যালারি, রোপওয়ে, রেস্ট হাউস, ফুল ও ফলের বাগানসহ বনভোজন ও অবকাশ যাপনের সব ব্যবস্থা।
জেলার কালিয়া উপজেলার মধুমতির তীরে পানি পাড়া গ্রামে প্রায় ৫০ একর জায়গা নিয়ে অরুনিমা কান্ট্রিসাইড রিসোর্ট। আধুনিকি বাংলো, চিরিয়াখানা, পুকুর, লেক, গোলাপ বাগান, বাটার ফ্লাই পার্ক, গোড়ার গাড়ি, গরুর গাড়ি, গলফ খেলার মাঠসহ আরো অনেক আয়োজন আছে অরুণিমায়। নানান গাছপালা আর পাখিদের আভয়ারণ্যও আছে এখানে। এখানকার রিসোর্ট অবকাশ যাপন যে কারো ভালো লাগবে।
নড়াইল সদরের মহেশখালী গ্রামে বর্তমান মোহাম্মদনগরে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন দেয়া বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ কমপ্লেক্স। ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি এখানেই জন্ম নেন তিনি। পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে চাকরি করতেন তিনি। ৭১-এর মার্চ মাসে গ্রামে ছুটি কাটাতে এসে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেন। এ বছর ৫ সেপ্টেম্বর পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে চরম বীরত্বের পরিচয় দিয়ে তিনি শহীদ হন। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর এ অসীম ত্যাগকে স্মরণীয় করে রাখতে সরকারি উদ্যোগে তাঁর বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ কমপ্লেক্স। এখানে তাঁর স্মৃতি রক্ষায় একটি ট্রাস্ট, গ্রন্থাগার ও জাদুঘর রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর নামে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় রয়েছে। এই বীরের সম্মানে গ্রামটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে মোহাম্মদনগর। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে এ কমপ্লেক্স।