Tourism or Parjatan Information of Thakurgaon District by md. abidur rahman | parjatanbd | A Home of Tourism Information Written and Managed By : Shahina Akter | সাহিনা আক্তার
Description About Tourism or Parjatan Place of Thakurgaon
এ পৃষ্ঠা থেকে ট্যুারিষ্ট বা পর্যটক ঠাকুরগাঁ জেলার ভ্রমন তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। যা তাদের ভ্রমনের ক্ষেত্রে কাজে আসবে। শুধু তাই নয় এখনকার প্রতিটি ভ্রমন স্থানের নামের সাথে একটি তথ্যবহুল ভিডিও-এর হাইপারলিংক করা আছে যার মাধ্যমে ভিডিও দেখে স্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবে ও ভ্রমণ সম্পর্কে তারা আগ্রহী হয়ে উঠবে।
জামালপুর মসজিদ
ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে পীরগঞ্জ যাবার পথে শিবগঞ্জ হাট পেরিয়ে প্রায় তিন কিমি. গেলে জামালপুর মসজিদ। আকর্ষণীয় নির্মাণশেলীর এ মসজিদের উপরে তিনটি বড় আকৃতির গম্বুজ ও ২৮ টি মিনার আছে। নকশাখচিত মিনার গুলোর উচ্চতা প্রায় ৩৫ ফুট। জানা যায় তাজপুর পরগনার জমিদার রওশন আলীর বংশধররা ১৮৬৭ সালে এ মসজিদটি নির্মাণ করেন। ভারতের উত্তর প্রদেশের হংসরাজ ও তাঁর পুত্র ছিলেন এ মসজিদের মূল কারিগর।
ফানসিটি অ্যামিউজমেন্ট পার্ক
জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্টিত ফানসিটি অ্যামিউজমেন্ট পার্ক (০৫৬২৪-৫৬৫৮২)। প্রায় দশ একর এলাকাজুরে এ পার্কের মূল আকর্ষণ হল মেরি গো রাউন্ড, সুপার চেয়ার, ওয়েস্টার্ন ট্রেন, কিডি রাইডস, প্যাডেল বোটস, ব্যাটারি কার, থ্রিডি জু ভিডিও গেমস ইত্যাদি। এ ছাড়া পার্কে স্থান পেয়েছে বিখ্যাত ব্যক্তিদের ছবি। অবকাশ যাপনের জন্য কটেজও আছে এ পার্কে। আর সুবিধাসহ একটি পিকনিক স্পটও আছে এখানে।
টংকনাথের রাজবাড়ি
জেলার রানীশংকৈল উপজেলার কুলিক নদীর তীরে রাজা টংকনাথের বাড়িটির এখন বেহাল অবস্থা। টংনাথের বাবা ছিলেন বুদ্ধিনাথ চৌধুরী। তিনি ছিলেন গোয়ালা বংশীয় জমিদারের শ্যামরাই মন্দিরের সেবায়েত। নিঃসন্তান গোয়ালা জমিদার কাশীবাসে যাবার সময় তাঁর সব জমিদারি সেবায়েতের তত্ত্বাবধানে রেখে যান এবং তাম্রপাতে দলিল করে যান, তিনি কাশী থেকে ফিরে না এলে শ্যামরাই মন্দিরের সেবায়েত ও জমিদারির মালিক হবেন। পরে বৃদ্ধ জমিদার কাশী থেকে ফিরে না এলে বুদ্ধিনাথ জমিদারির মালিক হন। তবে এ জমিদারবাড়িটির নির্মানকাজ বুদ্ধিনাথ চোধুরী শুরু করলেও শেষ করেন তাঁর ছেলে রাজা টংকনাথ। বর্তমানে রাজবাড়িটির মূল্যবান সব স্থাপনাই বিনষ্ট হয়ে গেছে। তবে বাড়ির পশ্চিম দিকের সিংহদরজা, বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে কাছারিবাড়ির ধ্বংসাবশেষ এখনো টিকে আছে।
গোরক্ষনাথ মন্দির ও কূপ
রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ থেকে প্রায় ৮ কিমি. পশ্চিম দিকে গোরকুই গ্রামের নাথ আশ্রমে অবস্থিত পাঁচটি মন্দির ও একটি প্রাচীন কূপ আছে। জানা যায় গোরক্ষ কূপ থেকেই এ গ্রামের নাম হয় গোরকুই। মন্দির পাঁচটি কয়েক দফা সংস্কার করার ফলে এর আদি রূপ অনেকটাই বিনষ্ট হয়েছে। আশ্রমের পূর্ব দিকের তিনটি কালীমন্দিরের মধ্যে মাঝেরটি উচ্চতায় অপেক্ষাকৃত বড়। এর দুপাশে দুটি শিবমন্দির আছে। মন্দিরগুলোর সঙ্গেই উত্তর পাশে গোরকুই কূপ। কুপটির চারদিক ইটের প্রাচীরে ঘেরা। দেয়ালের পূর্ব ও পশ্চিম একটি করে দরজা আছে। ভূমি থেকে প্রায় তিন ফুট উচ্চতায় কূপটির পাথুরে মেঝে। ভূমি থেকে মেঝেতে উঠার জন্য পাথরের সিঁড়ি রয়েছে। উপর থেকে কূপটির তলদেশ পর্যন্তই পাথরের।
হরিপুর রাজবাড়ি
হরিপুর উপজেলায় ঘনশ্যাম কুণ্ডুর বংশধররা প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন এ রাজবাড়ি। ১৪০০ সালের শুরুর দিকে তিনি কাপড়ের ব্যবসার উদ্দেশ্যে হরিপুর আসেন। এ সময়ে মেহেরুন্নেসা নামে একজন বিধবা মুসলিম মহিলা এ অঞ্চলের জমিদার ছিলেন। খাজনা আদায়ের কারণে তাঁর জমিদারির কিছু অংশ নিলামে উঠলে ঘনশ্যাম কুণ্ড তা কিনে নেন। তাঁর পরবর্তী বংশধরের একজন রাঘবেন্দ্র রায় উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে বর্তমান রাজবাড়িটির নির্মাণ শুরু করেন। কিন্তু তিনি শেষ করতে পারেননি। তাঁর পুত্র জগেন্দ্র নারায়ন রায় উনিশ শতকের শেষ দিকে বাড়িটির নির্মাণকাজ শেষ করেন। বর্তমানে বাড়িটির লতাপাতার নকশা পরিপূর্ণ দ্বিতল একটি ভবন এবং ভবনের পূর্ব দেয়ালে জগেন্দ্র নারায়ণের ১৪ টি আবক্ষ মূর্তি আছে। এ ছাড়া বাড়িটির পূর্ব পাশে একটি শিবমন্দির ও নাটমন্দির রয়েছে
সূর্যপূরী আমগাছ
জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তবর্তী হরিণমারি গ্রামে ২০০ বছরেরও বেশি পূরোনো আমগাছের নাম সূর্যপূরী। প্রায় আড়াই বিঘা জমির উপরে বিস্তৃত গাছটির শাখা-প্রশাখা । অনেকে এটিকে এশিয়ার সবচেয়ে বড় আমগাছও বলে থাকেন। ঠাকুরগাঁও থেকে বাসে বালিয়াডাঙ্গী গিয়ে সেখানে থেকে রিকশায় আসা যায় হরিণমারি।
নেকমরদ মাজার
রানীশংকৈল উপজেলা থেকে প্রায় ৯ কিমি. দূরে নেকমরদ এলাকায় শেখ নাসিরউদ্দীন নামে এক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির সমাধিক্ষেত্র। এ জায়গাটির নাম আগে ছিল ভবানন্দপুর। শেখ নাসিরউদ্দীন এ এলাকায় আসার পরে তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তির কারণে নেকমরদ উপাধি পান। পরে তাঁর নামেই এলাকাটি পরিচিতি পায়। প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে তাঁর মৃত্যু দিবস উপলক্ষে এখানে মেলা বসে।
সনগাঁ মসজিদ
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কালমেঘ হাট থেকে প্রায় ২ কিমি. উত্তরে সনগাঁ গ্রামে মুঘল সম্রাট শাহজানের সময়ে নির্মিততিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ। মসজিদটির দক্ষিণ পাশে প্রাচীন একটি কূপের গায়ে বাংলায় লেখা একটি শিলালিপি আছে । তবে অস্পষ্ট হওয়ায় সেটি পাঠোদ্ধার সম্ভব হয়নি।
অবসর সময়ে ভ্রমণ করুন ও দেশ সম্পর্কে জানুন - পর্যটনবিডি.কম