অবসর সময়ে ভ্রমণ করুন ও দেশ সম্পর্কে জানুন - পর্যটনবিডি.কম
Description About Tourism or Parjatan Place of Sherpur
এ পৃষ্ঠা থেকে ট্যুারিষ্ট বা পর্যটক শেরপুর জেলার ভ্রমন তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। যা তাদের ভ্রমনের ক্ষেত্রে কাজে আসবে। শুধু তাই নয় এখনকার প্রতিটি ভ্রমন স্থানের নামের সাথে একটি তথ্যবহুল ভিডিও-এর হাইপারলিংক করা আছেযার মাধ্যমে ভিডিও দেখে স্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবে ও ভ্রমণ সম্পর্কে তারা আগ্রহী হয়ে উঠবে।
শেরপুর জেলা শহর থেকে চব্বিশ কিলোমিটার দূর গারো পাহাড়ে পাদদেশে অপরূপ প্রাকতিকসৌন্দ্রর্যমণ্ডিত গজনীতে গড়ে তোলা হয়েছে অবকাশ কেন্দ্র।এটি ঝিনাইগাতি উপজেলার কাংশা ইউনিয়ন অবস্থিত । গাজনীতে যাবার পথে রাংটিয়া ছেড়ে কিছু দূর এগুলো দুপাশের শাল ( স্থানীয় নাম গজারী ) বনের ছায়ার ঢাকা কালো পিচঢালা পথটি সবার মন কাড়বে । এ পথ গিয়ে শেষ হয়েছে একটি হ্রদের সমনে । পাহাড়ি ঝরনার জলে আটকে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম এ হ্রদ।এর মাঝেখানে আছে ছোট একটি ‘দ্বীপ ‘ । দ্বীপ্ব যেতে হবে দোদুল্যমান ঝুলন্ত সেতু পেরিয়ে । হ্রদে নৌভ্রণের জন্য আছে পা-চালিত নৌকা , ময়ূরঙ্খী নাও ইত্য্যাদি। পাশেই পাহাড়ের ওপরে আছে একটি রেস্ট হাউস।তবে এখানে রাতে থাকার অনুমতি নেই।অনেকদূর পর্যন্ত পাহাড়ে সৌন্দ্রর্য উপভোগ করতে একটি পাহাড়চূড়ায় নির্মাণ করা হয়েছে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার । সিড়ি ভেঙ্গে উঠে যেদিকে দৃষ্টি যাবে সবুজ আর সবুজ দূরে পাহাড় চূড়ের সঙে মেঘের মিতালি। এখানে একটি কৃত্রিম পাতালপথ আছে যার নাম পাতালপুরা।
প্রকৃতিপ্রেমী ও ওয়াকিবহালজন অবশ্য বলেন, কৃত্রিম এসব স্থাপনা তৈরির আগে সবুজ বনের মধ্যে কুলুকুলু বয়ে চলা পাহাড়ি ছড়ায় ভরা গজনী ছিল অনেক বেশি সুন্দর । তবু বন উজাড় ধ্বংসের যে মহোৎসব চলছে তাতে দেশের এই নিভৃত কোণের বনভূমি অবশিষ্ট থাকতে থাকতে গজনী দেখে আসা উচিত। গাজনীর পাশেই আছে আদিবাসীদের গ্রাম।প্রকৃতি শোভার পাশাপাশি ঘুরে দেখতে পারেন। তাদের জীবনমাত্রা । তবে জায়গাটি সীমান্তের কাছে বলে কোনদিকে কতদূর যাওয়া নিরাপদ সে বিষয়ে নির্ভরযোগ্য কারো কাছে জেনে নিন।গজনীতে শেরপুর থেকে মাইক্রো বাস কিংবা কার ভাড়া করে যাওয়াই ভালো।তা না হলে শেরপুর থেকে বাস রাংটিয়া নামতে হবে।সেখানে থেকে রিকশা,ভ্যান কিংবা টেম্পাতে গজনী যাওয়া যায়।শেরপুর থেকে সকালে গজনীতে ঘুরে আবার বিকালে ফিরে আসা সম্ভব।
জেলা শহরে থেকে প্রায় চৌদ্দ কিলোমিটার দূরে ঝিনাইগাতি থানায় দ ঘাগড়া লস্কর গ্রামে অবস্থিত ২০০ বছরের পুরানো এ মুসজিদটি ।মুল প্রবেশপথের ওপর আরবিতে খোদাই করা ফলকে এর নির্মাণকাল লেখা আছে হিজরি ১২২৮ এবং ইংরেজি ১৮০৮ সাল।এ মসজিদের গম্বুজটি বেশ বড়।তার চারপাশে ছোট দশটি মিনার আছে।মসজিদে পূর্ব দিকে একমাত্র প্রবেশপথ।ভেতরে দেয়ার ও মিহরাবে ( ইমামের নামাজের জায়গায় ) আছে বিভিন্ন কারুকাজ। করে
জেলা নালিতাবাড়ী স্থলবন্দর হয়ে মধুটিলা যাবার পথে ভুরুঙ্গা কালাপানির দিকে দুই কিলোমিটার গেলেই পাহাড়ের গায়ে সুন্দুর একটি ঝরনা রঞ্জনা। এখান থেকে ৬০-৭০ ফুট উঁচুতে আরো ঝরনা আছে।শীত মৌসুমে এ ঝরনা জলধারা একটু কমে গেলেও বর্ষায় এর সৌন্দর্য দেখার মতো
জেলার শ্রীবর্দী জেলার অবস্থিত পাহাড়ের বাংলাদেশ অংশের সবচেয়ে উচুঁ জায়গায় রাজার পাহাড়।কিংবদন্তি আছে প্রাচীকালে এখানে এক রাজা বাস করতেন।এ কারনেই এর নাম রাজার পাহাড়।এ পাহাড়ের পাশেই আদিবাসী গ্রাম বাবলাকেনা।গারো,কোচ,এ হাজংদের বসবাস এ গ্রামে।
কালিবাড়ি দেবতা পুকুর
নালিতাবাড়ি উপজেলা আরো একটি দর্শনীয় জায়গা কালীবাড়ি দেবতা পুকুর । উপজেলা থেকে আঠার কিলোমিটার দূরে মেঘলায় সীমান্তঘেঁষা একটি পাহাড়ের ওপরে এ পুকুরটি । প্রায় ৪০০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ২০০ মিটার প্রস্থের এ জলাশয় সারা বছরই পানিতে পূর্ণ থাকে। এখানকার আদিবাসীদের বিশ্বাস চারদিকে সবুজে ঘেরা এ জলাধারে তাদে দেবতা থাকেন।