অবসর সময়ে ভ্রমণ করুন ও দেশ সম্পর্কে জানুন - পর্যটনবিডি.কম
Description AboutTourism or Parjatan Place of Jhalokati
এ পৃষ্ঠা থেকে ট্যুরিষ্ট বা পর্যটক ঝালকাঠি জেলার ভ্রমন তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। যা তাদের ভ্রমনের ক্ষেত্রে কাজে আসবে। শুধু তাই নয় এখনকার প্রতিটি ভ্রমন স্থানের নামের সাথে একটি তথ্যবহুলভিডিও-এর হাইপারলিংক করা আছেযার মাধ্যমে ভিডিও দেখে স্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবে ও ভ্রমণ সম্পর্কে তারা আগ্রহীহয়ে উঠবে।
ঝালকাঠি শহরের পশ্চিম পাশে প্রায় চার কিলোমিটার পঞ্চম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। গাবখান চ্যানেলের উপরে নির্মিত ইংরেজি এস অক্ষরের আকৃতিতে নির্মিত এ সেতুটি বেশ উঁচু। এ সেতুতে দাঁড়িয়ে পাবখান চ্যানেলের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। শহর থেকে রিকশা ও কলেজ মোড় থেকে বাসে সহজেই আসা যায় পাবখান সেত
জীবনানন্দ দাশের বিখ্যাত ধানসিঁড়ি নদী এখন মৃতপ্রায়। ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায় অবস্থিত এ নদী দিয়ে এক সময় বরিশাল-ঝালকাঠি, রাজাপুর-কাউখালী-পিরোজপুর-খুলনা রুটে স্টিমার চলত। এখন এ নদী দিয়ে কেবল নৌকা চলাচল করে। তবে নদীটি মরে গেলেও এর সৌন্দর্য কমেনি কোনো অংশে। ধানসিঁড়ি তীরে চরঘাটারাকান্দা গ্রামে রয়েছে কবি জীবনান্দ দাশের মামাবাড়ি।
জেলা শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে কীর্তিপাশা গ্রামে রয়েছে এ জমিদার বাড়িটির। এ বাড়ির জমিদার রাজা কীর্তি নারায়ণের নামেই পরবর্তীতে এ গ্রামের নামকরণ হয়। এখানে প্রাচীন জমিদারবাড়িটির ধ্বংসাবশেষ, একটি শিবমন্দির ও শিব মূর্তি আছে। জেলা শহর থেকে টেম্পু কিংবা রিকশায় যাওয়া যায় জায়গাটিতে।
জেলার রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে রয়েছে প্রায় তিনশ বছরের পুরোনো একটি জমিদারবাড়ি। প্রায় একশ একর জায়গাজুড়ে এ বাড়িতে আছে কয়েকটি পুকুর, মুঘল স্থাপত্যরীতিতে তৈরি তিনটি অট্টালিকা এবং বাড়ির প্রধান তোরণটি এখনো টিকে আছে। এটি শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের নানা বাড়ি। আর এখানেই তাঁর জন্ম। শৈশবের বেশিরভাগ সময় তিনি এখানে কাটিয়েছেন। বাড়িটি রাজাপুর-পিরোজপুর মহাসড়কের বেকুটিয়া ফেরিঘাটের কিছুটা আগে অবস্থিত। জেলার সদর থেকে পিরোজপুরগামী বাসে যাওয়া যায়।
নেছারবাদ দরবার শরীফ
ঝালকাঠি শহরের পাশেই রয়েছে এ অঞ্চলের ধর্মপ্রাণ মানুষ হজরত মাওলানা আজিজুর রহমান-কায়েদ সাহেব হুজুরের সমাধি।
গালুয়া পাকা মসজিদ
জেলার রাজাপুর উপজেলার গালুয়া বাজার থেকে এক কিলোমিটার পূর্ব দিকে অবস্থিত এ মসজিদটি। মসজিদের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া একটি শিলালিপি থেকে জানা যায় মাহমুদজান আকন (মামুজি) নামে এক ব্যক্তি বাংলা ১১২২ সালে এটি নির্মাণ করেন। দীর্ঘকাল মসজিদটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার পর তৎকালীন স্থানীয় পীর মাহতাবউদ্দিনের উদ্যোগে সংস্কার করা হয়। কথিত আছে ঘন জঙ্গলে ঢাকা মসজিদটি সংস্কার করতে গেলে এর ভেতর থেকে বড় বড় বিষধর সাপ বেরিয়ে আসে। হুজুর তখন মসজিদটি যে কোনো একদিক খোলা রাখার নির্দেশ দেন। পরে সেখান থেকে একে একে বেশ কিছু সাপ বেরিয়ে বাইরে চলে যায়। পরে মসজিদটিকে নামাজের উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়। এর দীর্ঘকাল পরে ২০০৪ সালে স্থানীয় প্রবীণ শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস খানের প্রচেষ্টায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উদ্যোগে মসজিদটিকে পূর্বের রূপ দেয়া হয়। বর্তমানে এটি একটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি।