অবসর সময়ে ভ্রমণ করুন ও দেশ সম্পর্কে জানুন - পর্যটনবিডি.কম
Description About Tourism or Parjatan Place of Chandpur
এ পৃষ্ঠা থেকে ট্যুরিষ্ট বা পর্যটক চাঁদপুর জেলার ভ্রমন তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। যা তাদের ভ্রমনের ক্ষেত্রে কাজে আসবে। শুধু তাই নয় এখনকার প্রতিটি ভ্রমন স্থানের নামের সাথে একটি তথ্যবহুলভিডিও-এর হাইপারলিংক করা আছেযার মাধ্যমে ভিডিও দেখে স্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবে ও ভ্রমণ সম্পর্কে তারা আগ্রহীহয়ে উঠবে।
জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রা বাজার থেকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ডাকাতিয়া নদীর তিরে এ মঠ অবস্থিত। এ অঞ্চলের প্রভাবশালী দুই জমিদারম ভাই লোহ এবং গহর এ মঠ নির্মাণ করেন। এই দুই ভাইর নামেই পরবর্তীতে গ্রামের নাম হয় লোহাগড়। জনশ্রুতি আছে ডাকাতিয়া নদীর তীরে জমিদারবাড়ির অবস্থানের। নির্দেশিকাস্বরূপ সুউচ্চ মঠটি তারা নির্মাণ করেন। আর তাঁদের আর্থিক্ক প্রতিপত্তির নিদর্শন রাখতে মঠের চূড়ায় একটি স্বর্ণদণ্ড স্থাপন করেছিলেন। পরবর্তিতে কোনো এক ঝড়-তুফানের কারণে স্বর্ণদণ্ডটি ডাকাতিয়া নদীতে পড়ে যায়। লোহাগড় মঠের কাছেই জমিদার লোহ এবং গহরের বাড়িটির কিছু ধ্বংসাবশেষ এখনো দেখা যায়।
জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায় হাজীগঞ্জ-কুমিল্লা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এ মসজিদটি। বাংলা একাদশ শতকের শুরুর দিকে মাকিম উদ্দীন নামে এক বুজুর্গ ব্যক্তি ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে আরব থেকে হাজীগঞ্জে আসেন। পরবর্তীতে তাঁরই বংশধর হাজী মনিরুদ্দীন ওরফে মনাই গাজীর প্রপৌত্র আহমদ আলী পাটোয়ারী এ মসজিদের জন্য জায়গা ওয়াকফ করে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। এ মসজিদের প্রধান আকর্ষণ এর ১৮৮ ফুট উঁচু মিনার।
শাহসুজা মসজিদের সামান্য দক্ষিণে আরেকটি প্রাচীন মসজিদ আছে। মসজিদটি দৈর্ঘ্যে ১৫.২৪ মিটার এবং প্রস্থে ৮.২৩ মিটার। এর পূর্ব দেয়ালে তিনটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালে এক জোড়া করে প্রবেশপথ আছে। মসজিদের উপরে প্রধান একটি বড় গম্বুজের চারপাশে আরো চারটি ছোট আকৃতির গম্বুজ আছে। মসজিদটির প্রধান প্রবেশপথের উপরে ফারসি শিলালিপি থেকে জানা যায় সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে ১৬৯২ সালে জনৈক আব্দুল্লাহ এ মসজিদটি নির্মাণ করেন।
জেলার শাহরাস্তি উপজেলার পঞ্চগ্রামে অবস্থিত প্রত্নস্থল নাওড়া মঠ। আনুমানিক দু’শ বছর আগে শৈলনাথ মজুমদার নামক জনৈক জমিদার তাঁর পরলোকগত মায়ের সমাধির উপর প্রায় ১৫০ ফুট উঁচু এ মঠটি নির্মাণ করেন।
আরব দেশসমূহের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চাঁদপুরের গ্রাম ৪০টি গ্রামে প্রতি বছর এক দিন আগে ইদুল ফিতর ও ইদুল আজহা উদযাপিত হয়। চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ উপজেলার মাওলানা ইসহাক খান বড়কুল গ্রামে ১৯২৮ সালে আরব দেশসমূহের সঙ্গতি রেখে ঈদ উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরপর থেকে আরব দেশের সঙ্গে মিল রেখে ঈদসহ সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান এক দিন আগে উদযাপনের এই প্রথা শুরু হয়। হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা গ্রাম ছাড়াও পার্শ্ববর্তী প্রায় চল্লিশটি গ্রামে আগাম ঈদ পালন করা।
বানাখালি জমিদারবাড়ি
হাজীগঞ্জের আরেকটি দর্শনীয় জায়গা বানাখাল জমিদারবাড়ি। ১২.৫২ একর জায়গাজুড়ে একশ বছরেরও বেশি আগে জমিদার সুরেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী ও দেবেন্দ্র নারায়ন চৌধুরীর পিতা জমিদার জোগেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী এ বাড়িটি নির্মাণ করেন বলে জানা যায়। সংস্কারের অভাবে বর্তমানে বাড়িটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।
যাত্রামণি মঠ
কচুয়া উপজেলার মনোহরপুরের তুলতলী গ্রামে সুরমা এ মঠটি অবস্থিত। আটকোনাকৃতির এ মঠটির উচ্চতা প্রায় ১০০ ফুট। ইট ও চুন সুরকিতে নির্মিত এই সৌধটির একটি গোলাকার কক্ষ আছে। কক্ষের দক্ষিণ দিকে একটি মাত্র প্রবেশপথ। তুলাতলী গ্রামের যাত্রামণি মজুমদার নামে ধনাঢ্য এক ব্যক্তি প্রায় ২০০ বছর আগে এ