অবসর সময়ে ভ্রমণ করুন ও দেশ সম্পর্কে জানুন - পর্যটনবিডি.কম
Description AboutTourism or Parjatan Place of Feni
এ পৃষ্ঠা থেকে ট্যুরিষ্ট বা পর্যটক ফেনী জেলার ভ্রমন তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। যা তাদের ভ্রমনের ক্ষেত্রে কাজে আসবে। শুধু তাই নয় এখনকার প্রতিটি ভ্রমন স্থানের নামের সাথে একটি তথ্যবহুলভিডিও-এর হাইপারলিংক করা আছেযার মাধ্যমে ভিডিও দেখে স্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবে ও ভ্রমণ সম্পর্কে তারা আগ্রহীহয়ে উঠবে।
শহরের জিরো পয়েন্টের কাছে অবস্থিত প্রাচীন দিঘি। জনশ্রুতি আছে ত্রিপুরা রাজ্যের প্রভাবশালী এক রাজকন্যার অন্ধত্ব দূর করার মানসে প্রায় পাঁচশ বছর আগে এ দিঘি খনন করা হয়। স্থানীয় ভাষায় কন্যাকে ঝি বলা হয়। তাই এর নাম রাজাঝির দিঘি। ১৮৭৫ সালে ফেনী মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হলে এর সদর দপ্তর গড়ে তোলা হয় এই দিঘির পাড়েই। প্রায় সাড়ে ১০ একর জায়গাজুড়ে এ দিঘিটি আজো ঠিকে আছে কালের সাক্ষী হয়ে।
ফেনী শহরের প্রায় দুই কিলোমিটার পশ্চিমে বিজয় সিংহ গ্রামে ফেনী সার্কিট হাউসের সামনে অবস্থিত আরেকটি প্রাচীন দিঘি। বাংলার সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা বিজয় সেন এদিঘিটি খনন করেন বলে জানা যায়।
জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলা সদরের অদূরে চাঁদ গাজী বাজারের কাছেই এ প্রাচীন মসজিদটি অবস্থিত। ইট শুরকিতে তৈরি তিন গম্বুজবিশিষ্ট এ মসজিদটির দেয়াল বেশ চওড়া। মসজিদের সামনের কালো পাথরের একটি নামফলক থেকে জানাযায় ১১১২ হিজরিতে চাঁদ গাজী নামে এক ব্যক্তি মসজিদটি নির্মাণ করেন।
ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলায় অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেচ প্রকল্প। ফেনী নদী, মুহুরী নদী এবং কালিদাস পাহালিয়া নদী সম্মলিত প্রবাহকে আড়ি বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে এ পানি নিয়ন্ত্রণ কাঠামোটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৮৫ সালে। এ জায়গাটি জেলার অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র। মুহুরী রেগুলেটরের চারদিকে বাঁধ দিয়ে ঘেরা কৃত্রিম লেকে শীতকালে অতিথি পাখির সমাগম ঘটে। মুহুরী প্রকল্পকে ঘিরে আশপাশে কয়েকটি পিকনিক ও বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে।
জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার বাঁশপাড়া গ্রামে একই জায়গায় মঠ আকৃতির সাতটি স্থাপনা সাত মন্দির কিংবা সাতবাড়ী নামে পরিচিত। এগুলো আসলে হিন্দু জমিদারদের সমাধিসৌধ বা মঠ। এখানে অবশ্য ‘একমন্দির’ নামে পরিচিত। ফেনী সদর থেকে বাস কিংবা বেবিট্যাক্সিতে ছাগলনাইয়া বাজারে এসে সেখান থেকে রিকশায় আসতে হবে সাত মন্দির।
পাগলা মিয়ার সমাধি
ফেনী সদরের তাকিয়া রোডে অবস্থিত এ অঞ্চলের আধ্যাত্মিক পুরুষ রবেশ পাগলা মিয়ার সমাধি। ১৮২৩ সালে জেলার ফাজিলপুরের ছনুয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৮৭ সালে মৃত্যুবরণ করলে তাঁকে এখানে সমাহিত করা হয়।