অবসর সময়ে ভ্রমণ করুন ও দেশ সম্পর্কে জানুন - পর্যটনবিডি.কম
Description AboutTourism or Parjatan Place of Magura
এ পৃষ্ঠা থেকে ট্যুরিষ্ট বা পর্যটক মাগুরা জেলার ভ্রমন তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। যা তাদের ভ্রমনের ক্ষেত্রে কাজে আসবে। শুধু তাই নয় এখনকার প্রতিটি ভ্রমন স্থানের নামের সাথে একটি তথ্যবহুলভিডিও-এর হাইপারলিংক করা আছেযার মাধ্যমে ভিডিও দেখে স্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবে ও ভ্রমণ সম্পর্কে তারা আগ্রহীহয়ে উঠবে।
মাগুরা শহর থেকে প্রায় তিন কিলমিটার দূরে আঠারোখোদা গ্রামে নবগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত সুলতানি আমলের স্থাপত্য নিদর্শন মঠবাড়ি সিদ্ধেশ্বরী মঠ। এ জায়গাটি কালিতলা শ্মশান নামেও পরিচিত। শহর থেকে টেম্পো ও রিকশাযোগে সহজেই আসা যায় এখানেই।
জেলা শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে শ্রীপুর উপজেলার মাঝাইল গ্রামের গড়াই নদীর তীরে অবস্থিত সৈয়দ বাড়িতে ১৯১৮ সালের ১০ জুন জন্মগ্রহন করেন কবি ফররুখ আহমেদ। এখানে কবির বসতভিটি দেখে আসতে পারেন।
মাগুরা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তরে শ্রীপুর উপজেলার সদরের কাছে অবস্থিত প্রাচীন জমিদারবাড়ি। বর্তমানে বাড়িটির সিংহদ্বার ও অন্যান্য স্থাপনাগুলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংসের শেষপ্রান্তে। জানা যায়, এ অঞ্চলের জমিদার সারদারঞ্জন পাল চৌধুরী এ বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। মাগুরা শহর থেকে বাসে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা সদরে, সেখান থেকে সাচিলাপুর সড়কে এক কিলোমিটার গেলে সড়কের পাশেই এ জমিদারবা
জেলা সদর থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার দূরে মহম্মদপুর উপজেলা সদরের কাছেই অবস্থিত রাজা সীতারামের বাড়ির ধ্বংসাবশেষ। রাজা সীতারাম ছিলেন এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত। মগ ও ফিরিঙ্গিদের উপদ্রব থেকে জনগণকে বাঁচাতে তিনি সব ধরনের চেষ্টা করেন। উত্তর ভারতের তীর্থে যাবার কথা বলে তিনি সম্রাট আওরঙ্গজেবের সঙ্গে দেখা করে এ অঞ্চলের নৈরাজ্যের কথা অবহিত করেন। আওরঙ্গজেব শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সীতারামকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং তাকে ‘রাজা’ উপাধিতে ভূষিত করেন। দিল্লি থেকে ফিরে এসে তিনি মুর্শিদকুলী খানের অনুমতি বলে উপকূলে দুর্গ নির্মাণ এবং সৈন্য মোতায়েন করেন। ১৬৯৭-৯৮ সালে রাজা সীতারাম মহম্মদপুরে তার রাজ্যের রাজধানী স্থাপন করেন। এখানে তিনি মহম্মদপুর দুর্গ, বেশ কয়েকটি প্রাসাদ, মন্দিরসহ কয়েকটি দিঘি খনন করেন। সীতারামের রাজধানীতে এসব স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ এখনো অবশিষ্ট আছে। জেলা সদর থেকে রিকশায় যাওয়া যাবে এ রাজবাড়িতে।
জেলা মহম্মদপুর উপজেলার বড়ড়িয়া গ্রামে শত বছরের ঐতিহ্য ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা এখনো অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে প্রতি বছর ২৮ সেপ্টেম্বর। জানা যায়, আনুমানিক ১৯১০ সাল থেকে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে তিন দিনের লোকজ মেলা বসে বড়বাড়িয়া।