অবসর সময়ে ভ্রমণ করুন ও দেশ সম্পর্কে জানুন - পর্যটনবিডি.কম
Description AboutTourism or Parjatan Place of Kurigram
এ পৃষ্ঠা থেকে ট্যুরিষ্ট বা পর্যটক কুড়ীগ্রা জেলার ভ্রমন তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। যা তাদের ভ্রমনের ক্ষেত্রে কাজে আসবে। শুধু তাই নয় এখনকার প্রতিটি ভ্রমন স্থানের নামের সাথে একটি তথ্যবহুলভিডিও-এর হাইপারলিংক করা আছেযার মাধ্যমে ভিডিও দেখে স্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবে ও ভ্রমণ সম্পর্কে তারা আগ্রহীহয়ে উঠবে।
জেলার রাজারহাট উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের সিন্দুরমতি দিঘি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি তীর্থস্থান। জনশ্রুতি আছে সিংহল (শ্রীলঙ্কা) থেকে আগত রাজনারায়ণ চক্রবর্তী নামে এক হিন্দু ব্যক্তি সন্তান লাভের আশায় দিঘি খনন করেন। বিশাল এ দিঘি খনন করতে দীর্ঘ সময় লাগে। এরই মধ্যে তাঁর দুই কন্যা সন্তান হলে তাঁদের নাম রাখেন সিন্দুর ও মতি। কিন্তু দিঘি খনন করার পর দেখা গেল তাতে পানি উঠছেনা । স্বপ্নাদেশ পেয়ে রাজা নবমীর দিনে খননকৃত দিঘির ঠিক মাঝখানে পূজার আয়োজন করেন। কিন্তু পূজা শেষ হবার আগেই প্রবল বেগে পানি এসে দিঘি ভরে যায় এবং রাজার দুই কন্যা পানিতে ডুবে মারা যায়। এরপর থেকে এই দিঘির নাম হয় সিন্দুরমতি। প্রায় ১৬ একরেরও বেশি জায়গায় বিস্তৃত এই দিঘিটি সরকারি উদ্দ্যগে ১৯৭৫ সালে সংস্কারক করার সময় এর তলদেশে প্রচুর প্রাচীন মুদ্রা ও মূল্যবান মূর্তি পাওয়া যায়, যেগুলো বর্তমানে জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলা থেকে চার কিলোমিটার দক্ষিন-পশ্চিমে মন্ডল পাড়ায় অবস্থিত তিন গম্বুজবিশিষ্ট প্রাচীন মসজিদ। সুলতানি ও মুঘল আমলের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্যসংবলিত এ মসজিদটির নির্মাণকাল ১৫৮৪-১৬৮০ সালের মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে বলে ধারণা করা হয়।
জেলার উলিপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে ধরণীবাড়িতে অবস্থিত উলিপুরের জমিদার স্বর্ণময়ীর নায়েব ব্রজেন মুন্সীর বাড়ি। শিলালিপি থেকেজানা যায় ১৮৮০ সালে বাড়িটি নির্মিত। একতলা প্রাসাদোপম এ বাড়িটি বর্তমানে ধরণীবাড়ি ইউনিয়নের তহসিল অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছ
জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলা সদর থেকে ১০ কিমি. পূর্বে বঙ্গ সেনাহাট ইউনিয়নের দুধকুমার নদীর উপরে নির্মিত রেলসেতু। ইংরেজরা তাদের সৈন্য ও রসদ চলাচলের জন্য ১৮৮৭ সালে লালমনিরহাট থেকে ভুরুঙ্গামারী হয়ে ভারতের গোহাটা পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের অংশ হিসেবে এ রেলসেতু নির্মাণ করেছিল।প্রায় ১২০০ ফুট দীর্ঘ এ সেতুর একটি অংশ ’৭১ সালে পাকবাহিনী গুঁড়িয়ে দেয়। স্বাধীনতার পর এটি সংস্কার করা হয়। বর্তমানে এটি সাধারণ সেতুর মতোই বাবহৃত হচ্ছে।
চণ্ডিমন্দির
জেলার উলিপুর উপজেলার ৩ কিমি. পূর্ব দিকে ধামশ্রেণী নামক জায়গায় একটি প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ। ১৮৯৭ সালের ভুমিকম্পে মন্দিরটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে এর আর সংস্কার করা হয়নি। মুগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে (১৬৫৮-১৭০৭) বাহারবন্দ পরগনার জমিদার রানী সত্যবতী কর্তিক মন্দিরটি নির্মিত বলে জনশ্রুতি আছে। মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের পাশেই আরেকটি নতুন মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে কিছুকাল আগে।
দোলমঞ্চ মন্দ
জেলার উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেণীতে অবস্থিত আরেকটি প্রাচীন মন্দির দোলমঞ্চ। বিশাল একটি বটগাছের শেকড় দিয়ে ঢাকা এ মন্দিরটি এখন ধ্বংসের পথে। ১৭৫৭ সালের ভুমিকম্পে এ মন্দিরটিও ধ্বংস হয়ে যায়। এ ছাড়া এ এলাকায় আরো কয়েকটি প্রাচীন মন্দিরের ধংসাবশেষ আছে যেগুলো একই ভুমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।