অবসর সময়ে ভ্রমণ করুন ও দেশ সম্পর্কে জানুন - পর্যটনবিডি.কম
Description About Tourism or Parjatan Place of Lalmonithat
এ পৃষ্ঠা থেকে ট্যুরিষ্ট বা পর্যটক লালমনিরহাট জেলার ভ্রমন তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। যা তাদের ভ্রমনের ক্ষেত্রে কাজে আসবে। শুধু তাই নয় এখনকার প্রতিটি ভ্রমন স্থানের নামের সাথে একটি তথ্যবহুলভিডিও-এর হাইপারলিংক করা আছেযার মাধ্যমে ভিডিও দেখে স্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবে ও ভ্রমণ সম্পর্কে তারা আগ্রহীহয়ে উঠবে।
জেলা শহরের থানা পাড়া এলাকায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে উঠেছে এ জাদুঘর। স্থানীয় যুবক আশরাফুজ্জামান সবুজ তাঁর নিজ বাড়িতে জাদুঘরটি গড়ে তুলেছেন।এখানে স্থান পেয়েছে কাগজের নোট, প্রাচীন দলিল-দস্তাবেজ, প্রাচীন পুঁথি,তৈজসপত্র, বিভিন্ন সময়ে ব্যবহৃত স্থানীয় অস্ত্র, নানারকম সঙ্গীত যন্ত্রসহ আরো অনেক কিছু।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা কিসমত নগরে অবস্থিত প্রাচীন মসজিদ।মুঘল সুবাদার মনছুরখাঁ১১৭৬হিজরিতে এ মসজিদটি নির্মাণ করেনবলেজানাযায়।জনশ্রুতি আছে মঞ্জুর খাঁ দাড়ি রাখতেন।তাঁরনির্মিত মসজিদটি তাই স্থানীয়দের কাছে নিদারিয়া মসজিদ নামে পরিচিত পায়। লালমনিরহাট থেকে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের দুই কিলোমিটার দক্ষিণে গেলেই পাওয়া যাবে নিদারিয়া মসজিদ।
সদর উপজেলার গোকুণ্ডা ইউনিয়নে তিস্তা নদীর উপরে নির্মিত রেলসেতু। নর্দান বেঙ্গল রেলওয়ে কর্তৃক নির্মিত এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেলসেতু। ১৮৯৯-১৯০০ সালে নির্মিত এ রেলসেতুটি স্বাধীনতার সময়ে পাকবাহিনী কর্তৃক
ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরে বাংলাদেশ সরকার এটি আবার সংস্কার করে। বর্তমানে এ সেতুটির দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। যাওয়া যাবে বাসে।
লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত দহগ্রাম, আঙ্গরপোতা ছিটমহল ও তিন বিঘা কড়িডোর । ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ছিটমহল এটি। ১৯৪৭-এর দেশ বিভাগের সময়তৎকালীন পাকিস্তানের মূলভূখণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটি প্যাসেজ ডোরের ব্যবস্থারা খাহয়ে ছিল যা তিন বিঘা করিডোর নামে পিরিচিত। ১৯৯২সালেই জারার মাধ্যমে তিন বিঘা করিডোর বাংলাদেশকে প্রদান করা হয়। সে সময়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এক ঘণ্টা পরপর বাংলাদেশীরা যাতায়াতের সুযোগ পেত। পরে ২০০১ সালের এপ্রিল থেকে তাসকাল সাড়ে ৭টা হতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত খোলা রাখা হচ্ছে।
পাটগ্রাম উপজেলা সদর থেকে তিন বিঘা কোরিডোরের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। রিকশা কিংবা ভ্যানে চড়ে যেতে হবে জায়গাটিতে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কোরিডোরের ফটক বন্ধ করে দেয়া হয় বলে এর আগেই ফিরে আসতে হবে। করিডোর এলাকায় ছবি তোলায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
জেলার পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুরে অবস্থিত দেশের অন্যতম একটি স্থল বন্দর। ভারত, ভুটান এবং নেপালের সঙ্গে স্থলপথে মালামাল আমদানি ও রপ্তানির সুবিধার্থে বুড়িমারী জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ বন্দরটি চালু হয় ১৯৮৮ সালে। পাটগ্রাম উপজেলা সদর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার।
জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার গাড্ডিমারী ইউনিয়নে অবস্থিত দেশের সবচেয়ে বড় সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ। বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর ও বগুড়া জেলার অনাবাদি জমিতে সেচ সুবিধা দিয়ে বাড়তি ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে ১৯৩৭ সালে তিস্তা ব্যারেজের জাজ ১৯৭৯ সালে শুরু হয়ে শেষ হয় ১৯৯০ সালে। তিস্তা নদীর উপরে ৪৪ টি রেডিয়াল গেট সংবলিত এ ব্যারেজের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬১৫ মিটার।হাতীবান্ধা উপজেলা সদর থেকে সড়ক পথে এর দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার।