অবসর সময়ে ভ্রমণ করুন ও দেশ সম্পর্কে জানুন - পর্যটনবিডি.কম
Description AboutTourism or Parjatan Place of Panchagarh
এ পৃষ্ঠা থেকে ট্যুরিষ্ট বা পর্যটক পঞ্চগড় জেলার ভ্রমন তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। যা তাদের ভ্রমনের ক্ষেত্রে কাজে আসবে। শুধু তাই নয় এখনকার প্রতিটি ভ্রমন স্থানের নামের সাথে একটি তথ্যবহুলভিডিও-এর হাইপারলিংক করা আছেযার মাধ্যমে ভিডিও দেখে স্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবে ও ভ্রমণ সম্পর্কে তারা আগ্রহীহয়ে উঠবে।
করতোয়া নদীর তীরে ছোট্ট সুন্দর শহর পঞ্চগড়। শহরের মহিলা কলেজ প্রাঙ্গনে গড়ে তোলা হয়েছে রকস মিউজিয়াম। কলেজের অধ্যক্ষ নাজমুল হক ১৯৯৭ সালে এ জাদুঘর প্রাতিষ্ঠা করেন। এখানকার উন্মুক্ত ও অভ্যন্তীণ নামে দুটি গ্যালারিতে দেখতে পাবেন দুর্লভ সব পাথর। এ ছাড়া ছোট্ট এ শহরটি ঘুরে দেখতে পারেন একটু সময় নিয়ে।
জেলার আটোয়ারী উপজেলার মীর্জাপুর ইউনিয়নে অবস্থিত তিন গম্বুজবিশিষ্ট প্রাচীন মসজিদ। প্রায় চল্লিশ ফুট দৈর্ঘ্য, পচিশ ফুট প্রস্থ মসজিদটির দেয়াল পোড়ামাটির ফলকে ফুল ও লতা-পাতার নকশা পরিপূর্ণ। মসজিদের মূল প্রবেশপথের উপরিভাগে ফারসি ভাষায় লিখিত একটি শিলালিপি থেকে জানা যায় ১৬৭৯ সালে দোস্ত মোহাম্মদ নামে এক ব্যক্তি মসজিদটি নির্মাণ করেন।
পঞ্চগড় শহর থেকে সরাসরি চলে যেতে পারেন বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের জনপদ তেঁতুলিয়া। তেঁতুলিয়া জেলা পরিষদ বাংলোটি মহানন্দা নদীর তীর ঘেঁষে। বাংলোর পাশেই আছে সুন্দর একটি পিকনিক স্পট। নদীর ওপারেই ভারত। মনোমুগ্ধকর এ জায়গাটিতে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন। আকাশ ভালো থাকে সকাল-বিকাল। এখান থেকে হিমালয়ের কাঞ্চনজঙ্ঘার অপূর্ব দৃশ্য দেখা যায়। এখানে দেখা মেলবে গ্রামবাংলার অনেক দৃশ্য। ফসল লাগানো কিংবা গরু কিংবা মহিষের গাড়িতে কৃষকের ফসল তোলা হচ্ছে নিত্য দৃশ্য। তেঁতুলিয়া থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাংলাবান্ধা। সীমান্তবর্তী এ জায়গাটি ও ঘুরে আসতে পারেন।
তেঁতুলিয়ায় রয়েছে বেশ কয়েকটি চা বাগান। তেঁতুলিয়া থেকে পঞ্চগড় ফেরার পথে সড়কের দুই ধারেই চা বাগানের সমাহার । ডান দিকের বাগানগুলো মূলত ভারতের। তাই এগুলোতে প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। তবে ফেরার পথে হাতের বাঁ দিকে শালবাহান রোড ধরে প্রায় দুই কিলোমিটার ভেতরে রয়েছে ময়নাগুঁড়ি টি এস্টেট। ছোট্ট এ চা বাগানটি যেমন সুন্দর, তার চেয়ে আরো বেশি সুন্দর এর পাশ দিয়ে বয়ে চলা ডাহুক নদী। এক সময়ের খরস্রোতা এ নদী এখন মৃতপ্রায়। কিন্তু এর সুশীতল জলধারা যে কারোর মন টানবে।
এখান থেকে বেশ কিছুটা সামনে সড়কের পাশেই টিটিসিএল চা বাগান। এখানকার মেঠোপথ ধরে একটু ভেতরে গেলেই মিলবে এ ষ্টে
বেশ কিছু খোলা প্রান্তর। হাজারো পাখির কলকাকলিতে মুখর থাকে এ জায়গাগুলো। তেঁতুলিয়ার কাজী অ্যান্ড কাজী টি এষ্টেটও এখানেই। সমতল ভূমির এ চা বাগানগুলোতে ঘুরতে পারেন সারা দিন। চা বাগান ঘুরে ফেরার পথে দেখতে পারেন কমলা বাগান। পঞ্চগড়ের বিভিন্ন স্থানে এখন কমলা চাষ হচ্ছে । স্থানীয় লোকজনের কাছে জেনে যে কোনো একটি বাগান ঘুরে দেখতে পাবেন। কমলার মোসুমে গেলে গাছের পাকা কমলা পাওয়া যাবে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন বাগানে।
দেশের সবচেয়ে উত্তরের জনপদ হিমালয়ের কোলে বাংলাবান্ধা । তেঁতুলিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় ১২ কিমি. দূরে এ জায়গাটিতে ১৯৯৭ সালে একটি স্থলবন্দর নির্মিত হয়। এ জায়গা থেকে শীতকালে আরো ভালোভাবে হিমালয়ের কাঞ্চনজঙ্ঘার সোন্দর্য উপভোগ করা যায়।