জেলার বকশীগঞ্জের লাউচাপাড়ায় অবস্থিত পাহাড়িকা অবকাশ কেন্দ্র।এখানে চারদিকে পাহাড় আর সবুজ বন।একটি পাহাড়ের গা বেয়ে আঁকাবাঁকা সিঁড়ি উঠে গেছে একেবারে চুড়ায়। সেখানে আবার রয়েছে একটি ওয়াচ টাওয়ার। দশ-বারোটি সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠলেই সবুজের সমারোহ। দূর দেখা যায় ভারতের মেঘালয় রাজ্যের আকাশছোঁয়া সব পাহাড়।ছবির মতো সুন্দর চারদিক।এখানকার জঙ্গলে আছে নানা জাতের পশুপাখি। ধান পাকার মৌসুমে মেঘালয় থেকে সুস্বাদু লোভে আসে বুনো হাতির দল। চাষিরা রাত জেগে ধানের সুস্বাদু লোভে আসে বুনো হাতির দল। চাষিরা রাত জেগে পাহারা দেয়। হাতির দল হানা দিলে মশাল জ্বালিয়ে,পটকা ফাটিয়ে তাদের তাড়ানোর জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করে কৃষক।এখানে চোখে পড়বে চেনা-অচেনা অনেক পাখি।পুরো জায়গাটি অবসর বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছে জামালপুর জেলা পরিষদ।এ অবসর কেন্দ্রে প্রবেশে কোন টাকা লাগেনা।তবে কোনো বাহন নিয়ে গেলে তার জন্য পার্কিং ফি দিতে হয়।দিকলালোনা নামে এখানে আছে গারো আধিবাসীদের ছোট্ট একটি গ্রাম। এ গ্রামে বাইশ পরিবারের ১০০ জন গারোর বসবাস। তারা সবাই খ্রিস্টধর্মালম্বী।এ গ্রামের প্রধান প্রীতি সন সারমা।খুব সদালাপী এ মানুষটির আতিথেয়তা মুগ্ধ হবেন সবাই।প্রতিবছর বড়দিন, ইংরেজি নববর্ষ, ইস্টার সানডে উপলক্ষে উৎসবে মেতে ওঠে এ গ্রামের মানুষ। তখন বেড়াতে গেলে উৎসবটা হবে বাড়তি পাওনা।
দকলাকোনা গ্রামের শুরুতেই রয়েছে ‘দিকলাকোনা সালগিত্তাল’ হোস্টেল।খ্রিস্টান মিশনারিদের পরিচালিত এ হোস্টেলে প্রথম শ্রেণী থেকে তৃতীয় শ্রেণীর প্রায় ৭০ জন ছাত্রছাত্রী থাকে।এখান থেকে শুরু করে গ্রামটি ঘুরোফিরে গারোদের দৈনন্দিন জীবনের নানান চিত্র উপভোগ করতে পারবেন। আদিবাসীরা সহজ-সরল ও মিশুক। কিন্তু তাদের নিজস্বতার বিষয়টি লক্ষ্য রাখবেন এবং এমন কিছু করবেন না যাতে তারা বিরক্ত হন। বিশেষ করে মানুষের ছবি তুলতে চাইলে অনুমতি নিয়ে নেওয়া ভালো।
লাউচাপাড়ায় রাত কাটানো হতে পারে স্বরণীয় অভিজ্ঞতা। এখানকার শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ রাতে যেন আরো শান্ত ,আরো নিঝুম।এখানে রাতে থাকার জন্য দুটি রেস্ট হাউজ আছে।একটি জামালপুর জেলা পরিষদের ‘পাহাড়িকা বাংলো’ এবং অন্যটি ব্যক্তিমালিকানাধীন ‘বনফুল রিসোর্ট’ ।জেলা পরিষদের রেস্ট হাউজে থাকতে হলে আগে থেকে অনুমতি নিয়ে আসতে হবে ।