অবসর সময়ে ভ্রমণ করুন ও দেশ সম্পর্কে জানুন - পর্যটনবিডি.কম
Description AboutTourism or Parjatan Place of Lakshmipur
এ পৃষ্ঠা থেকে ট্যুরিষ্ট বা পর্যটক ফরিদপুর জেলার ভ্রমন তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। যা তাদের ভ্রমনের ক্ষেত্রে কাজে আসবে। শুধু তাই নয় এখনকার প্রতিটি ভ্রমন স্থানের নামের সাথে একটি তথ্যবহুলভিডিও-এর হাইপারলিংক করা আছেযার মাধ্যমে ভিডিও দেখে স্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবে ও ভ্রমণ সম্পর্কে তারা আগ্রহীহয়ে উঠবে।
লক্ষ্মীপুর শহরের অবস্থিত প্রায় তিনশ বছরের পুরোনো মসজিদ তিতা খাঁ মসজিদ। জানা যায় বহুকাল আগে আজিম খাঁ নামে স্থানীয় এক দরবেশ মসজিদটি জঙ্গলের মধ্যে আবিষ্কার করেন। এরপরে সুনিপুন শৈল্পিক কারুকার্য সংবলিত মসজিদটির ব্যাপক সংস্কার কর
প্রায় চারশ বছর আগে কাপড়ের ব্যবসা করতে লক্ষ্মীপুরের দালালবাজারে আসেন লক্ষ্মীনারায়ণ বৈষ্ণব। তাঁর উত্তর পুরুষরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্যিক এজেন্ট এবং পরে জমিদারি লাভ করেন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে সখ্যের কারণে স্থানীয়রা তাঁদের দালাল হিসেবে আখ্যায়িত করে। ১৯৪৬ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় এ বাড়ির জমিদাররা পালিয়ে যায়। প্রায় পাঁচ একর জায়গাজুড়ে এ বাড়িতে আছে রাজগেট, রাজপ্রসাদ, নাট মন্দির, পুজামণ্ডপ, সান বাঁধানো ঘাট প্রভৃতি।
দালালবাড়ির কাছেই আছে আরেকটি জমিদারবাড়ি। জমিদার রাজেন্দ্র নাথ দাসের ছেলে ক্ষেত্রনাথ দাস ও পৌত্র যদুনাথ দাস পর্যায়ক্রমে এ বাড়ির মালিক ছিলেন। রায়পুর উপজেলায় তাঁদের সখ্য থাকায় এ জমিদারবাড়ির নিকটবর্তী কামানখোলায় জমি ক্রয় করে তাঁরা আবাস গড়ে তোলেন। প্রধান প্রবেশপথ পেরিয়ে ভেতরে এখনো আছে রাজপ্রাসাদ, পূজামণ্ডপ। বাড়ির ভেতরে মাটির নিচে নাচঘর ‘ধান্ধারমানিক’ নিয়ে নানান মুখরোচক কাহিনীও প্রচলিত আছে মানুষের মুখে মুখে।
রায়পুর উপজেলা সদরে বাংলা ১২১৭ সালে নির্মিত মসজিদটির স্থাপিত্যশৈলী বেশ আকর্ষণীয়। ২৩ গম্বুজবিশিষ্ট এ মসজিদটি হজরত ফজলুল্লাহ নামে স্থানীয় বুজুর্গ এক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠা করেন বলে জানা যায়।
জেলার রায়পুর উপজেলার কেরোয়া গ্রামে অবস্থিত তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদটি জিনের মসজিদ নামে পরিচিত। দিল্লির জামে মসজিদের নমুনায় প্রায় ২০০ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত। জানা যায় খুবই কম সময়ে মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল বলে সবাই একে জানেন জিনের মসজিদ নামে। তিন গম্বুজবিশিষ্ট উঁচু প্রাচীর নির্মিত এ মসজিদের নিচের দক্ষিণাংশে একটি বড় অন্ধকার কক্ষ আছে যাতে সারা বছরই পানি জমে থাকে।
সাহেব বাড়ি নীলকুঠি
জেলা শহরের পৌর শহীদ স্মৃতি একাডেমির পেছনে অবস্থিত একশ বছরেরও বেশি পুরোনো বাড়িটি সাহেব বাড়ি নামে পরিচিত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ইংরেজদের সাহেবরা এ কুঠিটি তৈরি করেন বলে জানা যায়। ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে নীলকর সাহেবরা ১৯৩০ সালে স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছে বাড়িটি বিক্রি করে দেয়। বর্তমানে তাঁর উত্তরসূরিদের কাছেই ভালো অবস্থায় সংরক্ষিত আছে।