অবসর সময়ে ভ্রমণ করুন ও দেশ সম্পর্কে জানুন - পর্যটনবিডি.কম
Description AboutTourism or Parjatan Place of Sirajganj
এ পৃষ্ঠা থেকে ট্যুরিষ্ট বা পর্যটক সিরাজগঞ্জ জেলার ভ্রমন তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। যা তাদের ভ্রমনের ক্ষেত্রে কাজে আসবে। শুধু তাই নয় এখনকার প্রতিটি ভ্রমন স্থানের নামের সাথে একটি তথ্যবহুলভিডিও-এর হাইপারলিংক করা আছেযার মাধ্যমে ভিডিও দেখে স্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবে ও ভ্রমণ সম্পর্কে তারা আগ্রহীহয়ে উঠবে।
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম এবং বিশ্বের ১১তম দীর্ঘ সেতু। দেশের উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপনকারী এ সেতুটি ১৯৯৮ সলে চালু হয়। এর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.৫ মিটার। ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল-সিরাজগঞ্জ সড়কে সেতুর দুরত্ব ১১৯ কিলোমিটার। সেতুর দুই পাড়ে দুটি রেল স্টেশন আছে বলে কোনো লোকাল ট্রেনে চড়ে যমুনার সৌন্দর্য উপভোগ করা সহজ। গাড়িতে চড়েও এ সেতু যমুনার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। বঙ্গবন্ধু সেতুতে হাঁটার অনুমতি নেই। গাড়ির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে টোল পরিশোধ করতে হয়।
যমুনার ভাঙন থেকে শহর সিরাজগঞ্জ রক্ষা করতে ১৯৯৬ সালে এখানে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ শহররক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়। জায়গাটি এখন শহরের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। বর্ষার এ জায়গাটির সৌন্দর্য অনেক বেড়ে যায়। এখানেই বসেই যমুনার সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার হাটিকুমরুল এলাকায় নবরত্নপাড়া গ্রামে অবস্থিত প্রাচীন মন্দির। সিরাজগঞ্জ-বগুড়া মহাসড়কের পাশে এ এলাকায় আরো কয়েকটি ছোট ছোট প্রাচীন মন্দির আছে। মন্দিরগুলো আনুমানিক ১৭০৪-১৭২০ সালের মধ্যে নবাব মুর্শিদকুলী খানের শাসনামলা তাঁর নায়েব দেওয়ান রামনাথ ভাদুরী নির্মাণ করেন বলে জানা যায়। মূল নবরত্ন মন্দিরটি তিন তলাবিশিষ্ট। ইট-সুরকিতে তৈরি এ মন্দিরের প্রধান আকর্ষণ দেয়ালে পোড়ামাটির কারুকাজ।
জেলার শাহজাদপুরে আছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কাছারিবাড়ি। এখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক জমিদারি ছিল। কবির দাদা প্রিন্স দ্বারকনাথ ঠাকুর নীলকরদের একটি কুঠি নিলামে কিনে নেন। ঊনত্রিশ বছর বয়সে ১৮৯০ সালে সর্বপ্রথম শাহাজাদপুরে জমিদারি তত্ত্বাবধান করতে আসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এরপর ১৮৯৬ সাল পর্যন্ত জমিদারির কাজ এখানে যাওয়া-আসা ও অবস্থান করেন কবি। এখানে অবস্থানকালে তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম রচনা করেন। ঠাকুর পরিবারের জমিদারি ভাগাভাগির ফলে শাহাজাদপুরের জমিদারি চলে যায় রবীন্দ্রনাথের জন্য শরিকদের কাছে। তাই ১৮৯৬ সালে তিনি শাহাজাদপুর ছেড়ে চলে যান। জমিদারি খাজনা আদায়ের একটি পুরোনো দ্বিতল ভবন এখনো আছে, বর্তমানে যা ব্যবহৃত হচ্ছে জাদুঘর হিসেবে। এখানে প্রতি বছর ২৫ বৈশাখ কবির জন্মদিবস জাতীয়ভাবে তিন দিনের নানান আনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। জেলা শহর থেকে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। বাসে শাহাজাদপুর স্টেশনে নেমে, সেখান থেকে এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কাছারিবাড়ি।
জেলার শাহজাদপুর উপজেলা সদরের শেষপ্রান্তে দরগাপাড়ায় হুরাসাগর নদীর তীরে অবস্থিত এ মসজিদটি। জানা যায়, এ অঞ্চলের সুফি সাধক এবং শাসক মখদুম শাহ পনের শতকে এ মসজিদটি নির্মাণ করেন। বর্গাকার এ মসজিদটি পনের গম্বুজবিশিষ্ট। এতে তিনটি সারিতে পাঁচটি করে গম্বুজ রয়েছে। এ মসজিদের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন বৈশিষ্ট্য হল সাত ধাপ গম্বুজবিশিষ্ট দ্বিতল মিম্বর।