অবসর সময়ে ভ্রমণ করুন ও দেশ সম্পর্কে জানুন - পর্যটনবিডি.কম
Description About Tourism or Parjatan Place of Gaibandah
এ পৃষ্ঠা থেকে ট্যুরিষ্ট বা পর্যটক গাইবান্ধা জেলার ভ্রমন তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। যা তাদের ভ্রমনের ক্ষেত্রে কাজে আসবে। শুধু তাই নয় এখনকার প্রতিটি ভ্রমন স্থানের নামের সাথে একটি তথ্যবহুলভিডিও-এর হাইপারলিংক করা আছেযার মাধ্যমে ভিডিও দেখে স্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবে ও ভ্রমণ সম্পর্কে তারা আগ্রহীহয়ে উঠবে।
গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সদরে অবস্থিত প্রাচীণ স্থাপনাসমৃদ্ধ জায়গা বর্ধনকুঠি। প্রাচীন ইন্দ্রাকপুর পরগনার প্রধান কার্যালয় ছিল এ বর্ধনকুঠি ইতিহাস থেকে জানা যায় রাজা গৌরীনাথ ১৭৮১ সালে বর্ধনকুঠি জমিদারির রাজত্ব করতেন। ইংরেজদের ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বর্ধনকুঠির জমিদারি রংপুর কালেক্টর ও ঘোরাঘাট প্রশাসনের অধীনে চলে আসে। ১৭৯০ সালের দশসালা বন্ধোবস্তের সময় এ জমিদারির বাকি খাজনার দায়ে বেহাত হয়ে যায়। ১৯৪৭-এর দেশ বিভাগের সময় এ জমিদারির সর্বশেয রাজা শৈলেশ চন্দ্র ভারতে পাড়ি জমান। ১৯৬৫ সালে বর্ধনকুঠিতে গোবিন্দগঞ্জ কলেজ স্থাপনের ফলে দিনে দিনে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে প্রাচীন এ স্থাপনাগুলো।
জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলায় অবস্থিত নলডাঙ্গা জমিদারবাড়ি। জমিদারবাড়ির উল্লেখযোগ্য প্রাচীনস্থাপনাগুলো হল_বাংলা ১৩৩৪ সালে সুরেন্দ দেব শর্মা ও শ্রীমতী শৈবালা দেবী কর্তৃক কাশী থেকে আনা ছোট ছোট নকশা করা পাথরের তৈরি শৈলেশ্বর মন্দির। এ ছাড়া বাংলা ১২৮০ সালে প্রতিষ্টিত শ্বেতপাথরের তৈরি বৃষ মন্দিরে আছে কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ। প্রায় ৫২ একর জায়গার উপরে নলডাঙ্গা জমিদারদের খনন করা একটি দিঘিও আছে এখানে।
শাহ সুলতান গাজীর মসজিদঃ
গাইবান্ধা সদর উপজেলার দাড়িয়াপুরে অবস্থিত শাহ সুলতান গাজীর মসজিদ। বাংলা ১৩০৮ সালে কলকাতার পীর সৈয়দ ওয়াজেদ আলী বাহারবন্দ পরগনার জঙ্গল থেকে এ মসজিদের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় সংস্কার করেন। এ মসজিদের সঙ্গে শাহ সুলতান গাজী নামে একজন ধর্মপ্রচারক কিংবা যোদ্ধার সম্পৃক্ততার বিষয়ে জনশ্রুতি আছে। বলা হয় মসজিদের পাশের সমাধিটি তাঁরই। জানা যায় মসজিদটি সংস্কারের সময় এর ভেতরে কালো পাথরের একটি নামফলক ছিল যাতে মসজিদটি তৈরির সন লেখা ছিল ১০১১ । পরবর্তী সময়ে শিলালিপিটি মসজিদ থেকে খোয়া যায়। প্রতি বছর বৈশাখের শুরুতে মিরের বাজার বড় আকারের বৈশাখী মেলা বসে।
বিরাট রাজার নগর
জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত বিরাট রাজার বিরাটনগর। এটি মূলত মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা একটি প্রাচীন নগরী। বিরাটনগরের এ ঢিবির পাশেই আছে প্রাচীন একটি দিঘি। প্রতি বছর বৈশাখ মাসে এখানে মাসব্যাপী মেলা বসে।
বামনডাঙ্গা জমিদারবাড়ি
জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গায় অবস্থিত ভগ্নপ্রায় জমিদারবাড়ি। বাংলা ১২৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ জমিদারবাড়িতে বর্তমানে প্রাচীন বসতবাড়ি, কাছারিবাড়ি, মন্দির, কয়েদখানা ইত্যাদি এখনো এ বাড়িতে অতীত সুদিনের সাক্ষ্য বহন করে।
কাষ্ঠ কালীমন্দির
জেলার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে অবস্থিত দু’শ বছরেরও বেশি পুরোনো কাষ্ঠ কালীমন্দির। জনশ্রুতি আছে ঘাঘট নদীতে ভেসে আসা একটি কাঠের গুঁড়ি ভরতখালী হাটের সামনে এসে আটকে যায়। সাধারণ কাঠ ভেবে এক ব্যক্তি সেটি তুলে এনে কুঠার দিয়ে আঘাত করলে তার ভেতর থেকে রক্তপাত শুরু হয়। এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হলে স্থানীয় জমিদার রমণীকান্ত রায় স্বপ্নাদেশ পান সেটিকে পূজা দেবার। তখন রাজা কাঠের গুঁড়িটি দিয়ে কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করে পূজা অর্চনার ব্যবস্থা করেন। বৈশাখের শুরুতে এ মন্দিরের সামনে পাঁঠা বলি হয় এবং বৈশাখী মেলা বসে।