অবসর সময়ে ভ্রমণ করুন ও দেশ সম্পর্কে জানুন - পর্যটনবিডি.কম
Description AboutTourism or Parjatan Place of Khulna
এ পৃষ্ঠা থেকে ট্যুরিষ্ট বা পর্যটক খুলনা জেলার ভ্রমন তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। যা তাদের ভ্রমনের ক্ষেত্রে কাজে আসবে। শুধু তাই নয় এখনকার প্রতিটি ভ্রমন স্থানের নামের সাথে একটি তথ্যবহুলভিডিও-এর হাইপারলিংক করা আছেযার মাধ্যমে ভিডিও দেখে স্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবে ও ভ্রমণ সম্পর্কে তারা আগ্রহীহয়ে উঠবে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাইকগাছা ছিল খুলনা সাবসেক্টরের একটি ক্যাম্প। এখানকার উপজেলা সদরে ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে পাইকগাছা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। এ অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের নানান দুর্লভ সংগ্রহ সমৃদ্ধ করেছে এ জাদুঘরকে। জাদুঘরের দ্বিতল ভবনের পাশেই আছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে নির্মিত একটি স্মৃতিস্
জেলার ফুলতলা উপজেলার দক্ষিণডিহি গ্রামে রয়েছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত রবীন্দ্র কমপ্লেক্স। এটি কবিগুরুর শ্বশুরবাড়ি। ১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এ বাড়িতেই জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সেরেস্তার কর্মচারী বেণিমাধবের কন্যা মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে কবির বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণডিহিতে রয়েছে কবির স্মৃতিধন্য দোতলা প্রাচীন একটি বাড়ি। বাড়ির সামনে স্থাপন করা হয়েছে কবি ও তাঁর স্ত্রীর ভাস্কর্য। ১৯৯৫ সালে এখানে রবীন্দ্র কমপ্লেক্স গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়।
ইউনেস্কো ঘোষিত ৭৯৮তম বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের বড় একটা অংশ খুলনা জেলাতে। সুন্দরবন ভ্রমণের তথ্য জানাতে দেখুন বাগেরহাট জেলার অংশ।
শহরের কয়েকটি প্রাচীন স্থাপনা
খুলনা শহরের বেশ কয়েকটি প্রাচীন স্থাপনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে দীর্ঘ ইতিহাস। শহরের সাহেব বাজারে রেল স্টেশনের কাছে রয়েছে চার্লির বাড়ি। রেলওয়ের বিশ্রামাগার হিসেবে ব্যবহৃত এ ভবনটি শহরের প্রথম পাকা বাড়ি হিসেবে স্বীকৃত। চার্লি বিদ্রোহী কৃষকদের ধরে এনে নীলকর চোটেল সাহেবের এ বাড়িতে অত্যাচার চালানো হতো। এ ছাড়া খুলনা জেলা কোর্ট ভবন, বিএল কলেজের প্রশাসনিক ভবন, করোনেশন হল, লাল দালান, শহীদ হাদিস পার্কসহ শহরের উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন প্রাচীন স্থাপনা ও জায়গাগুলোও ঘুরে দেখা যেতে পারে।
প্রেমকানন
খুলনা শহরের পাশেই রূপসা নদীর উপরে রয়েছে খানজাহান আলী সেতু। এটি রূপসা সেতু নামেও পরিচিত। বিকালে খানজাহান আলী সেতুতে বেড়াতে ভালো লাগবে সবার। সেতুটিতে রিকশা-ভ্যানের জন্য আলাদা লেন ছাড়াও পায়ে হাঁটার পথ রয়েছে।
সেনহাটি
খুলনা শহর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে ভৈরব নদীর তীরে প্রাচীন স্থাপনাসমৃদ্ধ একটি গ্রাম সেনহাটি। এখানকার দোচালা কালীমন্দির ও প্রাচীন দিঘি আজো সবাইকে মুগ্ধ করে। ১৭৯৭ সালে রাজা শ্রীকান্ত রায় নামে এক জমিদার মন্দিরটি নির্মাণ করেন। এ ছাড়া এ গ্রামের বিজয় চন্ডিতলা জায়গাটি সেন বংশের রাজা বিজয় সেনের স্মৃতিবিজড়িত একটি স্থান বলে প্রচলিত আছে।
শহরের শিববাড়ি মোড়ে ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্টিত খুলনা জাদুঘর। দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাপ্ত নানান প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন বিশেষ করে ঝিনাইদহের বারবাজার, যোশরের ভরত ভায়না এবং বাগেরহাটের খানজাহান আলীর সমাধিসৌধ খননের ফলে প্রাপ্ত নানান দুর্লভ নিদর্শন প্রদর্শিত হচ্ছে এ জদুঘর।